অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
মায়াদেবীর পরিবারের সকলেই প্রতিমা শিল্পী। স্বামী শংকর পাল এবং ছেলে গোলক পাল দু’জনেই প্রতিমা গড়েন। দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। প্রতিবেশী বিলাস বিশ্বাস, বিবেকানন্দ ভৌমিকরা বলেন, প্রতিমা শিল্পী মায়াদেবী বিয়ের আগে মূর্তি গড়া সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। ভাসুর, শ্বশুরদের হাতের কাজ দেখে তিনি নিজেই এখন একজন সুদক্ষ প্রতিমা শিল্পী। এখন তাঁর হাতে গড়া বিভিন্ন ধরনের প্রতিমা এলাকার বিভিন্ন মন্দিরে জায়গা করে নিয়েছে। শিল্পী বলেন, আমার যখন মাত্র চোদ্দ বছর বয়স, তখন বিয়ে হয়। বাপের বাড়ি বার্নপুর হালসানা পাড়ায়। বাবা চাষের কাজ করে সংসার চালাতেন। যখন বিয়ে হয় তখন ছিল আমাদের শ্বশুরবাড়ির ভরা সংসার ও যৌথ পরিবার, এখন সকলের পৃথক। সেই সময় সংসারের কাজ সামলে অবসরে শ্বশুর, ভাসুরদের মাটি দিয়ে মূর্তি গড়ার কাজ বসে বসে দেখতাম ও তাঁদের কাজে সহযোগিতা করতাম। সেই থেকে মূর্তি গড়ার কাজে হাতেখড়ি।
এখন তিনি সমস্ত প্রতিমা তৈরি করতে পারদর্শী। বাঁশ ও কাঠের কাঠামো বাদে খড় বাঁধা, মাটির প্রলেপ দেওয়া এবং অবশেষে মূর্তির চক্ষুদান সমস্ত কাজই তিনি নিজে হাতে করেন। এবার তিনি ১৪টি দুর্গা প্রতিমার তৈরির বরাত পেয়েছেন। যার প্রতিটির মূল্য ১২ থেকে ১৮ হাজার টাকার মধ্যে। সারা বছরই কোনও না কোনও মূর্তির কাজ করতেই হয়। প্রতিমা গড়েই সংসার চলে। কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির ফলে লাভের অঙ্ক তলানিতে ঠেকেছে। পরিবেশ দূষণের কথা ভেবে ভেষজ রং দিয়ে কাজ করেন। স্বামী, সন্তান অন্যত্র মণ্ডপে গিয়ে প্রতিমা তৈরি করেন। ছেলে গোলক বলেন, বাড়িতে তৈরি মূর্তিগুলো মা নিজে হাতে তৈরি করেন। অবসর সময়ে কখনও কখনও আমরা মাকে সহযোগিতা করি। -নিজস্ব চিত্র