অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
ডিসি সন্দীপ কাররা বলেন, একটি শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটেছে। আমরা আক্রান্তকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণেই এই কাণ্ড, নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিনাকুড়ির সোদপুর ৯, ১০ এলাকা যথেষ্ট জমজমাট। রাস্তার উপরই রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। অন্যপাশে রয়েছে সোদপুর কোলিয়ারি হাইস্কুল। সেই মোড়েই রাত ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ বাইকের উপর বসেছিলেন ব্যবসায়ী কৃষ্ণা নুনিয়া। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দু’টি বাইক দিয়ে তাঁকে কার্যত ঘিরে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। তাতেই তাঁর হাতে, পেটে গুলি লাগে। এলাকাবাসী দুষ্কৃতীদের দিয়ে ধেয়ে এলে পিস্তল দেখিয়ে বাইকে করে চম্পট দেয় তারা। আক্রান্ত ব্যক্তিকে পুলিসের মোবাইল ভ্যান দ্রুত তুলে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। উজ্জ্বলবাবুর সৌজন্যে এই এলাকাটি কার্যত স্থানীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। এতদিন চিনাকুড়ির নানা প্রান্তে দুষ্কৃতী কার্যকলাপ হলেও এই এলাকাটিকে দুষ্কৃতীরাও এড়িয়ে চলত। এবার তাও বাদ গেল না। উজ্জ্বলবাবু বলেন, গোষ্ঠী লড়াইয়ের জন্য এই ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। আমার মনে হয় স্থানীয় দুষ্কৃতীদের কাজ নয়।
চিনাকুড়ি কার্যত অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে। গত বছরই ১১ অক্টোবর ঠিক পুজোর আগে সুদ কারবারি শম্ভুনাথ মিশ্রকে চিনাকুড়ি ডিভিসি মোড়ে গুলিতে ঝাঁজরা করে দুষ্কৃতীরা। তিনি মারা যান। চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল চিনাকুড়ি বাজারে মাইক্রো ফিনান্সের কর্তা উমাশঙ্কর চৌহান নিজের অফিসেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারান। পাঁচ মাসের মাথায় ফের শ্যুটআউট। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একে কোলিয়ারি এলাকা। তার উপর রয়েছে রেলের সাইডিং। কাঁচা টাকা উড়ছে। এলাকাজুড়ে চলে সুদের কারবার। মোবাইল চুরির জন্য রাজ্যজুড়ে কুখ্যাতি রয়েছে চিনাকুড়ি নুনিয়া বস্তির। মোবাইলের পাশাপাশি অস্ত্র কারবার, এমনকী কোলিয়ারির পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে সহজেই দুষ্কৃতীরা আশ্রয় নিতে পারে। এই অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই অবাঙালিদের দু’টি গোষ্ঠী আছে। সেই গোষ্ঠীর মধ্যে খুনোখুনি লেগেই থাকে। পুলিস শ্যুটআউট হওয়ার পর ঘটনার কিনারা করতে পারলেও কেন শ্যুটআউটের মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।