শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ নানা সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত। মঠে সারাবছর ধরে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি শিক্ষার বিস্তারেও উল্লেখযোগ্য কাজ হয়। মঠ পরিচালিত স্কুলে দুঃস্থ মেধাবী পড়ুয়ারা পড়াশোনা করে। মঠের পল্লিমঙ্গল বিভাগ গ্ৰামীণ মানুষের আর্থিক বিকাশে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছে। ফুড প্রসেসিং, হ্যান্ডলুম, ধূপ তৈরি করে গ্ৰামীণ মহিলারা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন। মঠ কর্তৃপক্ষ এবার মাশরুম চাষের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে। স্থানীয় গ্ৰামীণ মহিলাদের এই কাজে যুক্ত করা হবে। মঠ কর্তৃপক্ষ মহকুমা উদ্যান বিভাগের কাছে মাশরুম চাষের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে। কামারপুকুর এলাকায় দুই হাজার বর্গফুট জমিতে মাশরুম চাষ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ লোকোত্তরানন্দ মহারাজ বলেন, গ্ৰামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে মঠের পল্লিমঙ্গল বিভাগ এবার মাশরুম চাষ করবে। মঠের তরফে প্রাথমিক পরীক্ষামূলক কাজ শুরু হয়েছে। পল্লিমঙ্গল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অরিজিৎ মহারাজ বলেন, আমাদের এখানে ফুড প্রসেসিং, হ্যান্ডলুম ও ধূপ তৈরির কাজ হয়। গ্ৰামীণ মহিলারা এই কাজে যুক্ত। এবার মাশরুম চাষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উদ্যান বিভাগকে আমাদের তরফে প্রকল্পটির জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। উদ্যান বিভাগের আধিকারিক পারমিতা রায় বলেন, মঠের তরফে দুই হাজার বর্গফুট জমির জন্য আবেদন করা হয়েছিল। একইসঙ্গে আরামবাগ শহরে প্রসেসড মাশরুম বিক্রির জন্য একটি বিপণি খোলারও আবেদন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয় হবে। তারমধ্যে প্রশাসন ৩৩ হাজার ২৫০ টাকা দেয়। দপ্তরের তরফে মঠের আবেদনের প্রস্তাব জেলা দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব যাতে দ্রুত কার্যকর হয় তার পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আরামবাগের এসডিওর সুভাষিনী ই বলেন, মঠ কর্তৃপক্ষ মাশরুম চাষ ও শহরে মাশরুম বিক্রির জন্য বিপণি করতে চেয়ে আবেদন করেছে। প্রস্তাব দু’টি দ্রুত কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।