চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
রাজনগর পঞ্চায়েত এলাকার এক দিক দিয়ে বয়ে চলেছে শিলাবতী, অন্যদিকে রয়েছে কংসাবতী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাম আমলে শিলাবতী নদীবাঁধে কালসবা মাঠ সংলগ্ন এলাকায় একটি স্লুইস গেট করা হয়েছিল। নিজনাড়াজোল পঞ্চায়েত এলাকার মাঠের জলের চাপ হলে সমস্ত জল কালসবা মাঠের উপর দিয়ে শিলাবতী নদীতে প্রবেশ করত। ওই স্লুইস গেটের মাধ্যমেই কালসবা মাঠের জল নিয়ন্ত্রণ করা হতো। রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা আশিস দলুই, অরুণ সাতিক, বিনয় দলুই বলেন, শিলাবতী নদীর জলের চাপে ২০০৭সালে কালসবা মাঠ সংলগ্ন স্লুইস গেট সহ নদীবাঁধ ভেঙে যায়। ১৫বছরের বেশি সময় হয়ে গেল নতুন করে স্লুইসগেট তো দূরের কথা, বাঁধটিই বাঁধা হয়নি। তাই প্রতি বছর শিলাবতী নদীর জলস্ফীতি হলে রাজনগরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। এবারেও একই আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বাঁধটি ভাঙা থাকায় ঘাটাল ব্লকের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। একসময় ঘাটাল ব্লকের শিমুলিয়া, রাধানগর, জয়কৃষ্ণপুর, মশরপুর, মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দারা খুব সহজেই নদীবাঁধ দিয়ে রাজনগর বাজার বা দাসপুর-মেদিনীপুর রাস্তায় আসতে পারতেন। সেটাও দীর্ঘ দেড় দশক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আশিসবাবু বলেন, দীর্ঘদিন বাঁধটি ভাঙা অবস্থায় থাকায় জায়গাটির নামও বদলে এখন ভাঙাবাঁধ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নিয়ে বাঁধটি কয়েকবার বাঁধার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তা টেকেনি।
বাসিন্দারা প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে বাঁধটি সংস্কারের বিষয়ে বারবার জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। গতবছর শাসকদলের নেতারা বাঁধটি সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেটিও কার্যকর হয়নি। এলাকার বাসিন্দা আশিসবাবু বলেন, আমরা তিতিবিরক্ত হয়ে এদিন পথ অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ।-নিজস্ব চিত্র