চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বধূ রোজ নিয়ম করে জামালপুরের বাসিন্দা ধৃত ইব্রাহিমের সঙ্গে চার-পাঁচবার ফোনে কথা বলতেন। কোনও কোনও সময় ৩০ মিনিটের বেশি সময় ধরে কথা বলেছেন। কিন্তু তপনকে ফোনে সে বেশি সময় দিতেন না। যদিও প্রেমিকার বাড়িতে তপনের অবাধ যাতায়াত ছিল। তাদের অনেকবার একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। তা নিয়ে তপনের বাড়িতে অশান্তিও হয়েছে। বাড়ির লোকজন তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সে প্রেমিকাকে কোনওমতেই ছাড়তে চায়নি। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, প্রেমিকার বন্ধু ইব্রাহিমকে তপন আগে চিনত না। কয়েক মাস আগে সে তার কথা জানতে পারে। প্রেমিকাকে সে ইব্রাহিমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলে। প্রেমিকা মাঝে তাকে জানিয়ে দেয়, ইব্রাহিমের সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই। কিন্তু তারপরও প্রেমিকার ফোন ব্যস্ত থাকত। মাঝেমধ্যে প্রেমিকা বেরিয়ে যেতেন। তাই মন থেকে সন্দেহ দূর হয়নি। তবুও তপন প্রেমিকাকে ছাড়তে পারেনি। ওই বধূ যখন যা তার কাছে চাইতেন সেটাই এনে দিত। বাড়িতে বিনামূল্যে বিদ্যুতের কাজও করে দিয়েছে। এমনকী প্রেমিকার সংসারের খরচও অনেক সময় জোগাত। মৃতার স্বামী রান্নার কাজে বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকতেন। সংসারে অর্থের টান ছিল। সেই অভাব তপনই মেটাত। পুলিস জানতে পেরেছে, ইব্রাহিমও তার অনেক শখ মিটিয়েছে। সবকিছুই ঠিকই চলছিল। কিন্তু শেষ পরিণতি ভালো হল না।