চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মীর বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু থাকায় সেখানে কিছুটা কাজ বাকি রয়েছে। নির্বাচন শেষ হলেই ওই কর্মতীর্থ তাড়াতাড়ি চালু করা হবে।
২০১৮ সাল পর্যন্ত রানাঘাটের মিশন রেলগেট থেকে চূর্ণী নদীর সেতু পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিমি রাস্তার দু’পাশে ১৫০টিরও বেশি অটোমোবাইলস যন্ত্রাংশের দোকান ছিল। গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রি ও ছোটবড় বাস, লরি সারাই করতে দিনভর প্রায় পাঁচশোর বেশি কর্মী ব্যস্ত থাকতেন। এরপর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য জমি জরিপ করা হয়। দেখা যায়, রাস্তার দু’পাশে থাকা দোকানপাট ভাঙা পড়বে। এরপরেই অটোমোবাইল ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবসায়ীরা জেলা পরিষদের কাছে অটোমোবাইলসের মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির আবেদন জানান। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে কমপ্লেক্স তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জমিও কেনা হয়।
ব্যবসায়ীদের যুক্তি মেনে সেই কাজে সিলমোহর দেয় প্রশাসন। ২০১৯ সালে নদীয়া জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অটোমোবাইলস নির্ভর কর্মতীর্থ তৈরির শিলান্যাস করেন। এই দোতলা কর্মতীর্থ ভবনে ৮৮টি স্টল রয়েছে। বেশিরভাগ স্টলেই রং করার কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে। এখনও ভবনের সিঁড়ি ও বারান্দার কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের নিজেদের দোকানের চাবি পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর তাহলে প্রায় পাঁচশোর বেশি শ্রমিকের পরিবারও উপকৃত হবে।
অটোমোবাইল ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অমলেশ দত্ত বলেন, প্রশাসন ও রাজ্য সরকারকে পাশে পেয়েছি। তাই পাঁচ বছরের অপেক্ষার পর ফের জেলার অটোমোবাইলস ব্যবসা চাঙ্গা হয়ে উঠবে। রাজ্যের মধ্যে এখানেই প্রথম অটোমোবাইল নির্ভর কর্মতীর্থ তৈরি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের একাংশ বলেন, ২০১৯ সাল নাগাদ দোকানগুলি ভাঙা পড়লে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকে নতুন করে অন্য কোথাও দোকান খুলতে পারেননি। শ্রমিকদের একটা বড় অংশ ভিনরাজ্যে চলে গিয়েছে। এবার এই কর্মতীর্থকে কেন্দ্র করে কয়েকশো শ্রমিকের নতুন কর্মসংস্থান হবে বলে তাঁরা আশা করছেন।