চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
আক্রান্ত যুবককে আটক করার পরই প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, ট্রাফিক আইন অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিসের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার রয়েছে। কিন্তু সিভিক ভলান্টিয়ারের কারও গায়ে হাত তোলার অধিকার নেই। প্রতিবাদী যুবক অভিযুক্ত হলে সিভিকও সমানভাবে অপরাধী। সিভিককে আড়াল করা হচ্ছে। ওই সিভিকের বিরুদ্ধে এর আগেও বহুবার দাদাগিরির অভিযোগ উঠেছিল। পুলিস জানিয়েছে, রোদ, ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে সিভিক ভলান্টিয়ার নিরন্তর কর্তব্য পালন করে চলেছেন। তাঁদের গায়ে কেউ হাত তুললে আইনের মাধ্যমেই তার বিচার হবে। অন ডিউটি এক পুলিসকর্মীর সঙ্গেও ধৃত যুবক অভব্য আচরণ করেছে।
পুলিস সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, সিভিকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়। যুবকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ধারায় মামলা করা হয়েছে।
এদিন সকালে বড়ুয়া মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করছিলেন বেলডাঙা থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বড়ুয়া মোড়ে চারমাথার সংযোগস্থলে একটি রাস্তা বেলডাঙা শহরে ঢোকার অন্যতম করিডর। উত্তর-দক্ষিণ বরাবর চলে গিয়েছে জাতীয় সড়ক। ব্যস্ততম এই এলাকায় কোনও ইলেক্ট্রনিক্স সিগন্যাল ব্যবস্থা নেই। সিভিক দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যদিও এই জায়গায় প্রশিক্ষিত পুলিস কর্মী দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দাবি উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এদিন বাইকে তিন যুবক জাতীয় সড়ক পার হতে গেলে কর্তব্যরত সিভিক তাঁদের বাধা দেন। এক যুবক বাইক থেকে নেমে এলে সিভিকের সঙ্গে তীব্র বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বচসার মাঝেই সিভিক ওই যুবকের কলার ধরে চড়থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। এরপর যুবকও পাল্টা হাত চালান। এক পুলিসকর্মী এগিয়ে এসে সিভিকের পক্ষ নেন। ঘটনার জেরে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় মানুষ ছুটে এসে দু’পক্ষকে থামায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বেলডাঙার পুলিস। যুবককে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিছুদিন আগে রেজিনগর থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদাগিরিতে মাথা ফাটে একজনের। সেই ঘটনায় পুলিসকে কাঠগড়ায় তুলে অভিযুক্ত সিভিকের শাস্তির দাবি তুলেছিলেন স্থানীয় মানুষ। বেলডাঙায় রেজিনগরের ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। পুলিসের ন্যায়বিচার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ঔদ্ধত্য নিয়েও বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, থানায় থানায় সিভিক কর্মীরা কার্যত বেলাগাম হয়ে পড়ছেন। এদিনের ঘটনার পর বেলডাঙাবাসীর অভিযোগ, প্রশিক্ষণ না দিয়েই সিভিকদের হাতে গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিকের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে। সিভিকের ভুলে বড়ুয়া মোড়ে বহু দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিস তার দায় নেয়নি। এদিনও সিভিকের দোষ আড়াল করতে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে ঠিক করেনি পুলিস। প্রতীকী চিত্র