কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় বছর ত্রিশ আগে যখন সীমান্তে কাঁটাতার ছিল না, সেই সময় ওই মহিলা কাজের সন্ধানে সালকে গ্রাম থেকে ভারতের নবীন নগরে আসেন। সেখানে আসার পর ওই মহিলা কাজের সন্ধানে বিহারে চলে যান। সেখানে বিয়ে করে সংসারী হন। বেশ কিছুদিন আগে ওই মহিলার স্বামী মারা যান। তাঁর ছেলেমেয়ে না থাকায় বিহারে থাকতে পারেননি। তাই তিনি আবার বাংলাদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার জন্য নবীন নগরে তাঁর দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসেন। সেখানে বেশ কয়েকজন দালালের সঙ্গে কথা বলেন। সেই দালালদের কাজ টাকা নিয়ে অবৈধভাবে মানুষজনকে বাংলাদেশে পাঠানো। সেই দালালরা রবিবার রাতে মই দিয়ে ওই মহিলাকে কাঁটাতার পার করাচ্ছিল। কাঁটাতারের ওপারে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ছিল। তারা ওই মহিলাকে নিজের গ্রামে পৌঁছে দিত। কাঁটাতার পার হওয়ার সময় সেটা লক্ষ্য করেন ৮৪ নম্বর সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পাহারারত জওয়ানরা। অভিযোগ, তাঁরা বাধা দিলে ওই দালালরা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর উপর চড়াও হয়। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী তখন গুলি চালায়। সবাই পালিয়ে গেলেও ওই মহিলার পেটে গুলি লাগে। তিনি কাঁটাতারের উপর থেকে পড়ে যান। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই বিষয়ে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর দক্ষিণবঙ্গের ডিআইজি তথা জনসংযোগ আধিকারিক এ কে আর্য বলেন, রবিবার রাতে বেশ কয়েকজন দুই পাড়ে জমা হয়েছিলেন। কাঁটাতারের দুই দিকেই সিঁড়ি ছিল। তাঁরা পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বিএসএফের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হলে তারা বিএসএফের জওয়ানদের উপর চড়াও হয়। আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো হয়। তাতে একজন মহিলার মৃত্যুর কথা শোনা যায়। আমরা সবরকম তদন্ত করছি। প্রতীকী চিত্র