কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
এদিন সকালে সদর হাসপাতাল মোড়ে চেয়ারম্যান ও পুর আধিকারিক সহ অন্যান্য কাউন্সিলাররা হাজির হন। এমনিতেই কয়েকদিন আগে মৌখিক নোটিসেই দোকানপাট অনেকেই সরিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছেন। তবুও যে ক’টি দোকান ফুটপাতের উপর বসে রয়েছে, সেগুলিও দ্রুত খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে পুরসভার নোটিস লাগানো হয় দোকানে দোকানে। নির্দেশ না মানলে পরবর্তীতে পুরসভা তা ভেঙে দেবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর একইভাবে এসপি মোড় থেকে প্রধান রাস্তার চৈতালি মোড় পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে ফুটপাতের উপর বসে থাকা ব্যবসায়ীদের উঠে যেতে বলা হয়। দেখা যায়, কেউ কেউ মাসের পর মাস ধরে কাঠের গুঁড়ি ফেলে রেখেছেন রাস্তার উপরেই। এতদিন কারও সরিয়ে নিতে বলার সাহস ছিল না। একইভাবে কিছু ব্যবসায়ীর পাকাপাকি ছাউনি করে নেওয়ার বিষয়টি তো রইয়েছে। ৭ দিন সময় দিয়ে সবাইকে সরে যেতে বলা হয়। এভাবেই ফুটপাত উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ফুটপাত উদ্ধারের পর তা ফাঁকা পড়ে থাকলে ফের কেউ না কেউ বসে যাবে! সেক্ষেত্রে কী করা হবে? পুরসভার দাবি, দখলমুক্ত হলেই সৌন্দার্যায়নে জোর দেওয়া হবে। কোথাও কোথাও রেলিং দিয়ে ফুটপাত ঘিরে দেওয়া হবে। ঠেলাগাড়িতে করে যাঁরা ব্যবসা করেন, তাঁদের জন্য আলাদা জায়গা চিহ্নিত করা হবে। হাসপাতালের ভেতরে একটি নির্দিষ্ট ফাঁকা জায়গায় ঠেলা, ভ্যানে করে এসে খাবার বিক্রি ব্যবসায়ীরা যাতে করতে পারেন, সেই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও কিছু জায়গায় জলের ফোয়ারা তৈরি করে সৌন্দার্যায়নে জোর দেওয়া হবে।
চেয়ারম্যান বলেন, সকাল থেকেই কাউন্সিলারদের নিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরছি। কোনও জোরজুলুম নয়, সহজভাবে বুঝিয়ে বলা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তাতে সকলেই এগিয়ে আসছেন। অনেকেই আবেদন করছেন, পাকাপাকি ঘিরে আর ব্যবসা না করলেও ঠেলাগাড়িতে করে দিনের নির্দিষ্ট সময় বিক্রি করতে দেওয়া হোক। সেটা তো ভালোই। আর কাউন্সিলারদের পরিষ্কার বলে দিয়েছে, আপনাদের খামতি বা ফাঁকির দায় আমি নেব না। সকলকেই শহরের উন্নয়নের কথা ভাবতে হবে। আশা করি, আরও সুন্দর সিউড়ি শহর মানুষজন উপহার পাবেন।
অন্যদিকে, পুরসভার স্যানিটারি ইনসপেক্টর শোকজের মুখে পড়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নোংরা পরিষ্কারে মাঠে নেমেছেন। যেসব ড্রেন বিগত ৬ মাস ধরে পরিষ্কার করা হয়নি, তাও পরিষ্কার করা চলছে। সাফাইকর্মীরা ঠিকমতো কাজ করছেন কি না, তাও ঘুরে ঘুরে দেখছেন আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পর বাসিন্দাদের পরিষেবা দিতে সকলের যে টনক নড়েছে তা আন্দাজ মিলছে কাজের গতি দেখে। এসব দেখে দারুণ খুশি বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র