গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
ইন্দ্রজিৎ রায়, বোলপুর: ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি) পরিচালিত বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি মহিলা ক্রিকেট লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেন বিশ্বভারতীর ছাত্রী শ্রাবণী পাল। এই প্রথম বিশ্বভারতীর কোনও ছাত্রী এই সুযোগ পেলেন। তিনি ফিজিক্যাল এডুকেশন বিভাগের বিপিএডের ছাত্রী। বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে। তিনি মূলত ব্যাটার বলেই পরিচিত। অসাধারণ ব্যাটিং দক্ষতার জন্য এই সুযোগ পেয়েছেন বলে বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্যে মহিলা ক্রিকেটে উন্নতি ঘটনার জন্য তাৎপর্যপূর্ণভাবে সিএবি প্রথমবার এই মহিলা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগটি শুরু করেছে। আর প্রথমবারই কবিগুরুর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতী থেকে শ্রাবণী নির্বাচিত হওয়ায় খুশির হাওয়া শান্তিনিকেতন ক্যাম্পাসে।
ক্রিকেট ভারতের সবথেকে জনপ্রিয় খেলা। কপিল দেব হোক বা সুনীল গাভাস্কার কিংবা সচিন তেন্ডুলকার বা বর্তমান প্রজন্মের বিরাট কোহলি—সবাই ক্রিকেট খেলার সৌজন্যে জনপ্রিয়তা শীর্ষে উঠেছেন। আবার মিতালি রাজ, ঝুলন গোস্বামীর মতো ক্রিকেটারের হাত ধরে ক্রমেই উন্নতি করেছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। তাই, আইপিএলের পাশাপাশি ডব্লুউপিএল (উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ) আয়োজিত হতেই প্রথমবারই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেরা মহিলা ক্রিকেট খেলোয়াড় তুলে ধরতে বিভিন্ন রাজ্যের ক্রিকেট বোর্ড উদ্যোগী হয়েছে। সেই মতো এবছর প্রথম বাংলার ক্রিকেট বোর্ড, ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি মহিলা ক্রিকেট লিগের আয়োজন করেছে। এই লিগে মোট আটটি দল খেলবে। তার মধ্যে বিশ্বভারতীর শ্রাবণী অ্যাডামাস হাওড়া ওয়ারিয়র্সকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।
দুর্গাপুর শহরের অরবিন্দ থানার আমরাই গ্রামে বাড়ি শ্রাবণীর। সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে তাঁর উঠে আসা। শচীনের খেলা দেখে ক্রিকেটের প্রতি তাঁর আসক্তি জন্মায়। এরপর ছোটবেলার কোচ শিবনাথ রায়ের কাছে খেলার পাঠ নেওয়া শুরু। ২০২১ সালে বাংলা দলে তিনি সুযোগ পান। কিন্তু ২০২২ সালে বাবা স্বপন পালকে অকালে হারাতে হয়। বেশ দমে গিয়েছিলেন শ্রাবণী। বোনের ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে সফল করতে সংসারের হাল ধরেন দাদা সৌভিক পাল। তাঁর অনুপ্রেরণায় ফের ক্রিকেট খেলায় মনযোগ দেন শ্রাবণী। কোচ শিবনাথ রায় তাঁকে বিশ্বভারতীতে ভর্তির পরামর্শ দেন। বিশ্বভারতীর ফিজিক্যাল এডুকেশন বিভাগে মেন্টর অভিজিৎ থান্ডারের তত্ত্বাবধানে ও উন্নততর পরিকাঠামোয় শুরু হয় তাঁর ক্রিকেট প্রশিক্ষণ। এরপরেই তিনি ডাক পান বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি মহিলা ক্রিকেট লিগে।
ফিজিক্যাল এডুকেশন বিভাগের অধ্যক্ষ সমীরণ মণ্ডল বলেন, ‘শ্রাবণীর কৃতিত্বে আমরা গর্বিত। গরিব ঘরেও যে প্রতিভারর জন্ম হয়, শ্রাবণী তারই উদাহরণ। ক্রিকেটের প্রতি ওঁর খিদে ওঁকে সর্বোচ্চ লক্ষ্যে নিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাসী।’ শ্রাবণী বলছিলেন, ‘বাবার আকস্মিক মৃত্যুর পর দাদা পাশে দাঁড়িয়েছিল বলে আমি আজ এতটা পথ আসতে পেরেছি। শান্তিনিকেতনে শিক্ষকদের সমর্থন পেয়েছি। সেটা আমাকে মানসিক দৃঢ়তা দিয়েছে। একবার যখন সুযোগ পেয়েছি, তখন নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করব। কারণ, আমার পরবর্তী লক্ষ্য জাতীয় দল।’
ক্রিকেট ভারতের সবথেকে জনপ্রিয় খেলা। কপিল দেব হোক বা সুনীল গাভাস্কার কিংবা সচিন তেন্ডুলকার বা বর্তমান প্রজন্মের বিরাট কোহলি—সবাই ক্রিকেট খেলার সৌজন্যে জনপ্রিয়তা শীর্ষে উঠেছেন। আবার মিতালি রাজ, ঝুলন গোস্বামীর মতো ক্রিকেটারের হাত ধরে ক্রমেই উন্নতি করেছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। তাই, আইপিএলের পাশাপাশি ডব্লুউপিএল (উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ) আয়োজিত হতেই প্রথমবারই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেরা মহিলা ক্রিকেট খেলোয়াড় তুলে ধরতে বিভিন্ন রাজ্যের ক্রিকেট বোর্ড উদ্যোগী হয়েছে। সেই মতো এবছর প্রথম বাংলার ক্রিকেট বোর্ড, ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি মহিলা ক্রিকেট লিগের আয়োজন করেছে। এই লিগে মোট আটটি দল খেলবে। তার মধ্যে বিশ্বভারতীর শ্রাবণী অ্যাডামাস হাওড়া ওয়ারিয়র্সকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।
দুর্গাপুর শহরের অরবিন্দ থানার আমরাই গ্রামে বাড়ি শ্রাবণীর। সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে তাঁর উঠে আসা। শচীনের খেলা দেখে ক্রিকেটের প্রতি তাঁর আসক্তি জন্মায়। এরপর ছোটবেলার কোচ শিবনাথ রায়ের কাছে খেলার পাঠ নেওয়া শুরু। ২০২১ সালে বাংলা দলে তিনি সুযোগ পান। কিন্তু ২০২২ সালে বাবা স্বপন পালকে অকালে হারাতে হয়। বেশ দমে গিয়েছিলেন শ্রাবণী। বোনের ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে সফল করতে সংসারের হাল ধরেন দাদা সৌভিক পাল। তাঁর অনুপ্রেরণায় ফের ক্রিকেট খেলায় মনযোগ দেন শ্রাবণী। কোচ শিবনাথ রায় তাঁকে বিশ্বভারতীতে ভর্তির পরামর্শ দেন। বিশ্বভারতীর ফিজিক্যাল এডুকেশন বিভাগে মেন্টর অভিজিৎ থান্ডারের তত্ত্বাবধানে ও উন্নততর পরিকাঠামোয় শুরু হয় তাঁর ক্রিকেট প্রশিক্ষণ। এরপরেই তিনি ডাক পান বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি মহিলা ক্রিকেট লিগে।
ফিজিক্যাল এডুকেশন বিভাগের অধ্যক্ষ সমীরণ মণ্ডল বলেন, ‘শ্রাবণীর কৃতিত্বে আমরা গর্বিত। গরিব ঘরেও যে প্রতিভারর জন্ম হয়, শ্রাবণী তারই উদাহরণ। ক্রিকেটের প্রতি ওঁর খিদে ওঁকে সর্বোচ্চ লক্ষ্যে নিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাসী।’ শ্রাবণী বলছিলেন, ‘বাবার আকস্মিক মৃত্যুর পর দাদা পাশে দাঁড়িয়েছিল বলে আমি আজ এতটা পথ আসতে পেরেছি। শান্তিনিকেতনে শিক্ষকদের সমর্থন পেয়েছি। সেটা আমাকে মানসিক দৃঢ়তা দিয়েছে। একবার যখন সুযোগ পেয়েছি, তখন নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করব। কারণ, আমার পরবর্তী লক্ষ্য জাতীয় দল।’
