গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে ত্রিমুখী লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছিলেন তৃণমূলের খলিলুর রহমান। তাৎপর্যপূর্ণভাবে লোকসভার ভোটের অঙ্কে কংগ্রেসকে ছাপিয়ে দু’নম্বরে উঠে এসেছিলেন বিজেপির মাফুজা খাতুন। বিজেপি প্রার্থীকে ২লক্ষ ৪৫হাজারের বেশি ভোটে হারান তৃণমূল প্রার্থী। জঙ্গিপুর লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই দ্বিতীয় স্থান নিয়ে কংগ্রেসের লড়াই চলে বিজেপির সঙ্গে। বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ৩লক্ষ ১৭হাজারের কিছুটা বেশি। কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ২লক্ষ ৫৫ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। এবারও এই কেন্দ্রে ত্রিমুখী লড়াই হয়েছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। বিজেপির ধনঞ্জয় ঘোষ ও বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মুর্তজা হোসেন তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর দিয়েছেন।
গত লোকসভার ফলাফলে দেখা গিয়েছিল, সূতি বিধানসভায় খলিলুর সাহেবের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৪ হাজার। অভিজিৎ পেয়েছিলেন ২৯ হাজার এবং মাফুজা পেয়েছিলেন ৫০ হাজার ভোট।
জঙ্গিপুর বিধানসভায় ৭৯ হাজারের বেশি ভোট পান তৃণমূল প্রার্থী। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ছিল ২৮ হাজারের কিছুটা বেশি এবং বিজেপি প্রার্থী পায় ৬৬ হাজার ভোট। রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভায় ৯৩ হাজারের বেশি ভোট পায় তৃণমূল। সেখানে মাত্র ৩০হাজার ভোট পায় কংগ্রেস প্রার্থী। অপরদিকে বিজেপি পায় ২৮হাজার ভোট। সাগরদিঘি বিধানসভা থেকে তৃণমূল ৭৫ হাজার, বিজেপি ৪১ হাজার, কংগ্রেস ৪০হাজার ভোট পায়। লালগোলা বিধানসভা থেকে তৃণমূল ৬৫ হাজার, কংগ্রেস ৪৬ হাজার ও বিজেপি ২৮ হাজার ভোট পেয়েছিল। নবগ্রাম বিধানসভা থেকে তৃণমূল ৭৬ হাজার, বিজেপি ৫১ হাজার ও কংগ্রেস ৪৮ হাজারের বেশি ভোট পায়। খড়গ্রাম বিধানসভা থেকে তৃণমূল ৭৭ হাজার, কংগ্রেস ৩১ হাজার ও বিজেপি ৪৮ হাজার ভোট পেয়েছিল।
খলিলুর সাহেব বলেন, যতজনই ভোটে দাঁড়াক না কেন, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভোট দিয়েছেন। ফলে জয় আমার নিশ্চিত। এখন ব্যবধান নিয়ে একটু ভাবতে হচ্ছে। আইএসএফ এখানে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেস জোটকে মানুষ ভালো চোখে দেখেনি। ফলে প্রচারে গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, যুবশ্রী, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, জয় জোহার, মানবিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেছি। মানুষের মধ্যে এসব প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সকলেই জানেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার জন্য কী করেছেন। আর মানুষের জীবনযাত্রার মান আগের থেকে কত ভালো হয়েছে। তাই অধিকাংশ মানুষ তৃণমূলের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন বলে আমি মনে করি।
ধনঞ্জয়বাবু বলেন, আমরা একশো শতাংশ নিশ্চিত হয়ে বলছি, জয় আমাদের হবে। সমস্ত বুথ থেকে যা খবর পেয়েছি তাতে মানুষ আমাদের দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করছেন। দীর্ঘদিন ধরে সিপিএম কংগ্রেস ও তৃণমূলকে মানুষ ভরসা করেছে। কিন্তু উন্নয়ন হয়নি। এবার মোদিজির উপর ভরসা করেছেন সকলে। ফাইল চিত্র