কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
এর মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে বাসিন্দারা রোজগারের নতুন দিশা দেখছেন। পাশাপাশি জেলায় অর্থকরী ফলমূল চাষের ফলে আগামী দিনে মধ্যবিত্তের অর্থনীতি অনেকটাই সবল হয়ে ঘুরে দাঁড়াবে। বাসিন্দাদের আয় বাড়াতে মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে স্থায়ী সম্পদ তৈরির কাজ চলছে বলে বীরভূমের জেলাশাসক জানিয়েছেন। পাশিপাশি এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ফলও সহজেই মিলবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তাছাড়া প্রচুর পোলট্রি ফার্ম তৈরি হওয়ায় জেলায় মাংস ও ডিমের উৎপাদন বাড়বে। মাছের জোগানও বাড়বে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে বীরভূমে মোট দু’হাজার ২৫৯টি এলাকায় ইতিমধ্যে জমি শনাক্ত করা হয়েছে। সেখানে ফলের উৎপাদনের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। এর মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে জমি শনাক্তকরণের পর সেখানে প্রাণ সঞ্চারে সেচের ব্যবস্থা করা হয়। জল সরবরাহ ঠিক থাকলে ওই জমিতে আম, নাসপাতি, কাজুবাদাম, মোসাম্বি, পেয়ারা প্রভৃতি গাছ লাগানো হচ্ছে। গাছগুলি একটু বড় হলে সেই একই জমিতে সব্জি চাষ করা হবে। সেইসঙ্গে জল সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য ওই জমির এক প্রান্তে প্রয়োজন মতো একটি পুকুরও খনন করা হচ্ছে। পাশাপাশি জমির অন্যপ্রান্তে পোল্ট্রি বা হাঁসের ফার্ম এবং গবাদি পশু পালনের পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। সব মিলিয়ে এজন্য প্রকল্পটির নামকরণ করা হয়েছে মাটির সৃষ্টি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মাধ্যমে প্রায় দু’হাজার ৩৭১টি পোলট্রি ফার্ম তৈরি হচ্ছে। এক হাজার ৫৫৩টি জায়গায় প্রায় দু’হাজার ১৭৭ একর এলাকাজুড়ে প্রায় ৭১ লক্ষ অর্থকরী ফলের গাছ সহ অন্যান্য সব্জি চারা লাগানোর কাজ প্রায় শেষ। ৭৬টি কো-অপারেটিভ সোসাইটিকে এই প্রকল্প দেখভালের জন্য নিয়োগ করেছে প্রশাসন। এজন্য প্রাথমিকভাবে প্রশাসনের ২৮ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আরও অর্থ বিনিয়োগ করবে প্রশাসন। জেলার সিউড়ি-১ ব্লকের গোবিন্দপুর, মহম্মদবাজার ব্লকের গোপালনগর, কাপিষ্ঠা, জিন্দেরপুর, রাজনগরের রাজারকেন্দ, বাগানপাড়া, হরিপুর, লাভপুরের কঙ্কালীতলা সহ বহু এলাকায় জোর কদমে এই প্রকল্পের কাজ চলছে। একাধিক জায়গায় পুকুর খনন শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পোলট্রিতে মুরগি চাষ হওয়ায় ডিম ও মাংসের জোগানও বাড়বে জেলায়। এব্যাপারে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে আমরা স্থায়ী সম্পদ তৈরির কাজ করছি। এর মাধ্যমে মানুষের চাহিদামতো একই জায়গায় বিভিন্ন অর্থকরী ফসল উৎপাদিত হবে। মানুষের আয় বাড়বে। এই ফসল উৎপাদনে মানুষ কাজ পাবেন এবং বাজারে এই সব ফল মানুষের হাতের নাগালে আসবে। বিভিন্ন দপ্তর একত্রিত হয়ে কনভারজেন্স পদ্ধতিতে জোর কদমে এই প্রকল্পের কাজ চালানো হচ্ছে।