কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জনবাবুও সকাল থেকে শেষদিনের প্রচারে নামেন। হরিপুর, নৃসিংহপুর শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়ে তিনি প্রচার করেন। মন্ত্রী বলেন, শান্তিপুর আমাদের জেতা আসন। উপনির্বাচনেও কেন্দ্রটি আমাদের দখলে থাকবে। ভোটের পর ইভিএম দেখলেই বোঝা যাবে, মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে নেই। পাশাপাশি চার রাজনৈতিক দলের প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত বলে দাবি করেন।এদিন সকাল থেকেই চার রাজনৈতিক দলের একাধিক প্রচার গাড়ি শহর থেকে গ্রামে প্রচার চালায়। শাসকদলের কর্মীদের বলতে শোনা গিয়েছে, উন্নয়ন ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে আমাদের প্রার্থীকে ভোট দিন। দলের মহিলা কর্মীরাও এদিন প্রচার গাড়িতে করে বিভিন্ন মহল্লায়, রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন। বিজেপি আবার ‘রাজ্যকে বাংলাদেশ না করার’ ডাক দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছে। অন্যদিকে বামেরাও কৃষক, শ্রমিক বেকারত্ব ইস্যুতে তাদের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানায়। প্রচারে পিছিয়ে ছিল না কংগ্রেসকেও। শান্তিপুর কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। তাই শান্তিপুরের মাটিতে আবারও কংগ্রেস প্রার্থী জয় নিশ্চিত করতে ভোট চান কর্মীরা। সব মিলিয়ে এদিন বিকেল পর্যন্ত প্রচার গাড়ি, মাইকের আওয়াজে শেষদিনের প্রচারে শান্তিপুর উৎসবের চেহারে নেয়। ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত, এবার চার রাজনৈতিক দলই শান্তিপুরের ভূমিপুত্রদের প্রার্থী করেছে। তাই বহিরাগত প্রার্থী হিসেবে প্রচারে একে অন্যকে আক্রমণ শানাতে পারেনি। এছাড়া রাজ্যের শাসকদল ক্ষমতায় থাকায় উন্নয়নের খতিয়ান ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে প্রথম থেকেই জোর প্রচার চালিয়েছে তৃণমূল। উপনির্বাচনে এই বিধানসভাটি নিজেদের দখলে আনতে সবরকম প্রচার চালিয়েছে শাসকদল। অন্যদিকে জয় ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। আগামী শনিবার ভোট, ইভিএমেই প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটাররা।
কংগ্রেসের রোড শোয়ে অধীর চৌধুরী। - নিজস্ব চিত্র