কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
মৎস্যজীবীরা বলেন, দিনভর ভাগীরথী নদীতে মাছ ধরা হয়। বর্ষার সময় জালে বড় মাছ বেশি ওঠে। কোনও কোনও মাছ আট থেকে ১০ কেজি ওজনের হয়। সবসময় সেগুলি কেনার লোকজন থাকে না। আবার ডাঙায় তুলে রাখলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মাছ মারা যায়। মাছ মরে গেলেই দাম কমে যায়। কারণ অনেকেই বরফ দেওয়া মাছ কিনতে চান না। কিন্তু নদী থেকে তুলে সেই মাছ বাজারে বিক্রি করলে অনেক বেশি দাম পাওয়া যায়। সেই কারণেই এই কায়দায় মাছ নদীতে বেঁধে রাখা হয়। এভাবেই ১০-১২ দিন মাছ বেঁচে থাকে। আরও বেশিদিন বেঁধে রাখলেও অসুবিধা হয় না। তবে, তারই মধ্যে ভালো দাম দিয়ে কেনার খদ্দের জুটে যায়। মৎস্যজীবী প্রবীর হালদার বলেন, বর্ষার সময় ১০-১২কেজি ওজনের পাঙাস মাছ হামেশাই ওঠে। দুপুরবেলা মাছ জালে উঠলে সেদিন বাজারে বিক্রি করা যায় না। নদীতে বেঁধে রাখার পর ক্রেতা ঠিক করে তা বিক্রি করা হয়। ভাগীরথীর সব মাছের স্বাদ ভালো। টাটকা মাছ কেটে বিক্রি করলে ক্রেতারা খুশি হন। দাম নিয়েও বেশি দর কষাকষি করেন না। কিন্তু বরফ দেওয়া মাছের দাম অনেক কম। অপর এক মৎস্যজীবী কৃষ্ণ হালদার বলেন, ঘাট থেকে কিছুটা দূরে মাছগুলি বেঁধে রাখা হয়। তাছাড়া ঘাটে সবসময়ই লোক থাকে। মাছ চুরি যাওয়ার ভয় নেই। কয়েক বছর আগে এলাকার এক মৎস্যজীবী প্রথম এই কায়দায় মাছ বাঁচিয়ে রাখতেন। তাঁকে অনুসরণ করে অন্যান্যরাও জলে মাছ বেঁধে রাখছেন।মৎস্যজীবীরা বলেন, এইসময় ভাগরথী থেকে বিভিন্ন ধরনের মাছ উঠে আসছে। রুই-কাতলা, চিংড়ির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মাছ জালে উঠছে। কিছু ছোট ইলিশও ওঠে। ভাগীরথীতে মেলা বড় আকৃতির চিংড়িও ভালো দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে এই জাতীয় মাছ জলে রাখা দরকার হয় না। ডাঙায় তোলার সঙ্গে সঙ্গেই তা বিক্রি হয়ে যায়। চিংড়ি বা ইলিশ মহার্ঘ হলেও রুই-কাতলা কিংবা বা পাঙাস জাতীয় মাছের দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম।