কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
গ্রামীণ এলাকায় মানুষজনের উপর জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নানা কর্মসূচির তদারকি করা হবে ব্লক পাবলিক হেলথ ইউনিট থেকে। প্রতিটি ইউনিটে তিনটি অস্থায়ী পদ তৈরি হবে। সেখানে একজন পতঙ্গবিদ(এন্টোমোলজিস্ট) কিংবা মহামারী বিশেষজ্ঞ(এপিডেমিওলজিস্ট), টেকনিসিয়ান এবং একজন পাবলিক হেলথ প্রোভাইডার থাকবেন। যেকোনওরকম রোগ ছড়িয়ে পড়ার আগাম রিপোর্ট দেবে হেলথ ইউনিট। এখানে ল্যাবরেটরি থাকবে। তাতে সাত রকমের সরঞ্জাম থাকবে। মামুলি রোগ ব্যাধির রিপোর্ট জানাবে ওই ল্যাব। এছাড়াও রোগ সংক্রান্ত ডেটা সংগ্রহ করবে ওই ইউনিট। ব্লকস্তরে এধরনের পাবলিক হেলথ ইউনিট এই প্রথম তৈরি হতে চলেছে। প্রতিটি ইউনিট তৈরি করতে ৫০লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সব প্রাইমারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও এবার থেকে ডায়াগনেস্টিক পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। বাড়ির কাছেই বিনামূল্যে সরকারি উদ্যোগে রক্ত, মল, মূত্রের পরীক্ষা করানো যাবে। একই সঙ্গে ত্রিবার্ষিক পরিকল্পনায় শহরাঞ্চলে আরবান পাবলিক হেলথ সেন্টারে(ইউপিএইচসি) ডায়াগনস্টিক পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হবে। জানা গিয়েছে, প্রতিটি সাবসেন্টারে ডিজিটাল বিপি মেশিন, পালস অক্সিমিটার, ইসিজি মেশিন সহ ২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের সামগ্রী থাকবে। আর প্রত্যেক প্রাইমারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১৮ লক্ষ ২০ টাকা মূল্যের ডায়াগনেস্টিক সরঞ্জাম থাকবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ৭০৬টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে। তারমধ্যে তমলুক সিএমওএইচের অধীনে ৪৩২টি এবং নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলায় ২৭৪টি রয়েছে। জানা গিয়েছে, তমলুকে ৭৮টি এবং নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলায় আরও ৪৭টি সেন্টারের নিজস্ব ভবন নেই। দ্রুত ওইসব সাবসেন্টারে দোতলা বিল্ডিং তৈরি হবে। প্রতিটির জন্য খরচ হবে ৩০ লক্ষ টাকা। এখন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিণত করা হচ্ছে। ত্রিবার্ষিক পরিকল্পনার মধ্যেও ওই কর্মসূচিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এজন্য ইউনিটপিছু খরচ ধরা হয়েছে ৪লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা।নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলার সিএমওএইচ সৌম্য ষড়ঙ্গী বলেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আর্থিক সহযোগিতায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অধীনে একগুচ্ছ নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি ওই পরিকল্পনায় ব্লকস্তরে একেবারে নতুনভাবে গড়ে উঠবে ব্লক পাবলিক হেলথ ইউনিট। সেখান থেকে জনস্বাস্থ্য নিয়ে তদারকির কাজ হবে। এছাড়াও প্রচুর সাব সেন্টার তৈরি হবে। প্রত্যেক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডায়াগনেস্টিক পরিকাঠামো গড়া হবে। মামুলি যাবতীয় টেস্ট ওই সেন্টার থেকে করা যাবে।