পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
ওই যুবকদের কেউ স্কুল শিক্ষক, কেউ আবার গৃহ শিক্ষকতা করেন, কেউ চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মেদিনীপুরের একটি সংস্থার সদস্য তাঁরা। সংস্থার ব্যানারে মেদিনীপুর শহরে সারা বছরই তাঁরা নানা সামাজিক কাজকর্ম করে থাকেন। সংস্থার পক্ষে অরিন্দম ভৌমিক বলেন, আমাদের নিজেদের ফেসবুক পেজ রয়েছে। তাতে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের বহু মানুষ সদস্য। এমনিতে রাজ্য সরকার রেশনের মাধ্যমে বিনা পয়সায় চাল দিচ্ছে। বহু রাজনৈতিক দল, সংগঠনের পক্ষ থেকেও বহু এলাকায় প্রতিদিন খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। ফলে, গ্রামের মানুষ একেবারে সাহায্য পাচ্ছে না, এটা বলা ভুল। কিন্তু, তারপরও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের বেশ কয়েকটি প্রত্যন্ত এলাকার সেভাবে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছচ্ছে না বলে জানতে পারি। ফলে, আমরা নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী টাকা দিয়ে কিছু খাদ্যসামগ্রী কিনে এদিন ওই সব গ্রামে গিয়ে বিলি করে এসেছি। আমাদের একজন সদস্য নিজের ট্রাক দিয়ে সাহায্য করেছেন। এদিন চাল, সব্জি, বিস্কুট, দু’প্যাকেট করে মুড়ি আর ছোটদের জন্য চকোলেট দেওয়া হয়েছে।
এদিন ভোরে ট্রাকে করে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তাঁরা বের হন। প্রথমেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরে দুবলাবাড়ি গ্রামে গিয়ে তাঁরা কয়েকজনের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। ট্রাকের সঙ্গে দু’জন বাইক আরোহীও ছিলেন। কারণ, মিনি ট্রাক ঢুকতে না পারলে খাদ্যসামগ্রী বাইকে পৌঁছতে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। রামনগর থেকে তাঁরা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নায়ারণগড় ব্লকের দাউরা গ্রামে গিয়ে বেশ কয়েকটি লোধা, শবর পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। এরপর ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি, জামবনীর ছোটগং, বিনপুর-২ ব্লকের জুজারধারা, জবলা, কল্লডাবর, পাতঘর এবং লালজল গ্রামে একাধিক পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এই সব এলাকায় যাতে যেতে সমস্যা না হয়, তারজন্য বেলপাহাড়ি থানার সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। তারা সবরকমভাবে সাহায্য করেছে।