কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
এব্যাপারে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ সভাপতি তথা জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ বলেন, এই ধরনের বক্তব্য রাজনৈতিক কোনও ব্যক্তি বলতে পারে বলে মনে হয় না। তাই তাদের কোনও কথার গুরুত্ব আমরা দিই না। বিজেপির রাজনীতির মধ্যে রয়েছে মারধর, রাস্তা অবরোধ, আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করা, খুন করা। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে উন্নয়ন করতে চাই।
শনিবার সাঁইথিয়ার ইউনিয়ন বোর্ড মোড়ের দলীয় কার্যালয় থেকে বিজেপি অভিনন্দন যাত্রা শুরু করে। সাঁইথিয়া শহরের বলাকা মাঠ পর্যন্ত ওই মিছিল হয়। সেখানেই বিজেপি নেতৃত্ব একটি পথ সভা করে। এদিন এই কর্মসূচিতে জেলা সভাপতি ছাড়াও ছিলেন রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সহ বীরভূমের প্রাক্তন জেলা সভাপতিরা। সিএএর সমর্থনে আয়োজিত এই অভিনন্দন যাত্রায় জেলা সভাপতির বক্তব্য ঘিরেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যদিও পরে শ্যামাপদবাবু বলেন, মানুষকে গুলি করার কথা বলিনি। ওষুধ দেওয়ার কথা বলেছি। ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বুনো হাতিকে বনদপ্তরের গুলি করার কথার প্রসঙ্গ টানতে গিয়ে বলেছি।
এদিন সাঁইথিয়ায় ওই সভায় শ্যামাপদবাবু জেলায় সৌজন্য রাজনীতি করার জন্য আহ্বান করেছেন। তিনি বলেন, রাজনীতি করব ভালোবেসে। তৃণমূল নেতারা যদি আমাদের কর্মীদের সম্মান করে আমরাও সম্মান দেব। তাঁরা যদি আমাকে চা খাওয়ান, আমি তাঁদের কফি খাওয়াব। তুমি যদি আমার কর্মীদের রসগোল্লা খাওয়াও, কার্যকর্তারা তোমাদের রাজভোগ খাওয়াবে। আর যদি তা না করে বিজেপির কর্মীদের গালে চড় মারে। তাহলে আপনারাও সঙ্গে সঙ্গে চারটি চড় মারবেন। আগে, পিছনে চিন্তার দরকার নেই। যা হবে আমরা দেখে নেব।
তিনি আরও বলেন, যদি কোনও কার্যকর্তা বিজেপিকে ঘর ঢোকানোর চেষ্টা করে। আমি বলে গেলাম ভারতীয় জনতা পার্টি আর সেদিনের পার্টি নেই। তোমাদের এখানে ২২টি এমপি। আমরাও ১৮টি এমপি সিট জিতেছি। তাই পাশাপাশি বসে যদি রাজনীতি করো, তাহলে বিজেপির কোনও বাধ সাধবে না। আর যদি গায়ের জোর খাটায়, তাহলে এই চার পাঁচজন নেতাকে যেখানে পাব তাদের আমরা ঘর ঢোকাব। বীরভূম জেলা ছাড়া করব। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনে লড়ুন। তাতে যদি বিজেপি হেরে যায়, মাথা পেতে তা স্বীকার করে নেব। কিন্তু গায়ের জোরে হার মানব না।
শ্যামাপদবাবু কিছু নেতার উদ্দেশে বলেন, তাঁদের কোনও নীতি নেই। লক্ষ্য নেই। তাঁরা একবার কংগ্রেস করেছিলেন। একবার সিপিএম, একবার তৃণমূল করেছেন। আমরা ২০২১ সালে ক্ষমতায় এলে আমাদের সঙ্গে আসবে। তাই এইসব নেতাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।