কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী বীরেনকুমার বসাকের এখন বয়স ৬৭ বছর। তিনি মাত্র আট বছর বয়স থেকে কলকাতায় শাড়ি ফেরি করার কাজ শুরু করেন। এরপর সেখান থেকে সত্যজিৎ রায়, সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মতো নানা মানুষদের সংস্পর্ষে আসেন। তাঁদের অনুপ্রেরণা থেকেই ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠা। বীরেনকুমার বসাকের প্রায় ৫০ বছরের পুরনো কারখানায় তৈরি জামদানিতে এর আগেও চোখ ধাঁধানো নানা শিল্পের ছোঁয়া দেখেছেন মানুষ। সেখানে রাজনৈতিক নেতা থেকে মনীষীরা জায়গা করে নিয়েছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথও স্থান পেয়েছেন তাঁর জামদানি শাড়িতে। রাজনীতির নেতৃত্ব তাঁর শাড়িতে রয়েছেন। জায়গা করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পর্যন্ত। গোটা মহাভারত একটি শাড়িতে ফুটিয়ে তুলে এক সময় ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। শুধু তাই নয় প্রায় ১০০০টি বিভিন্ন রূপের গণেশকে ১২ হাত শাড়িতে ডিজাইনের মাধ্যমে স্থান দিয়েছেন তিনি। যে শাড়ির দাম আজ থেকে আট বছর আগে ছিল প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। তৈরি করতে সময় লাগে তিন বছর।
এই মুহূর্তে বাংলার তাঁতের শাড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু জোগান কম। তার প্রধান কারণ দক্ষ কারিগরের অভাব এবং সুতোর দাম বৃদ্ধি। অন্যদিকে, শাড়ি তৈরির মজুরি কম থাকায় তাঁতিরা কাপড় বোনা থেকে মুখ ফিরিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজে নাম লেখাচ্ছেন। হ্যান্ডলুমের জায়গায় পাওয়ার লুম চলে আশাতে কাজ হারিয়েছেন অনেকে। এরপর শাড়ির সঠিক দাম দিচ্ছেন না ক্রেতারা। এই মুহূর্তে এগুলি প্রধান সমস্যা শান্তিপুর ফুলিয়া তাঁত শিল্পীদের। এইসব সমস্যার মধ্যেও ফুলিয়ার তাঁতের শাড়িতে মাঝে মধ্যেই অভিনবত্ব দেখেছেন রাজ্য সহ গোটা দেশের মানুষ। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে এই কাজ করতে পেরে খুশি শিল্পীও।