পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
স্থানীয় মুজনাই নদীর পাড় এলাকায় গ্রামপঞ্চায়েতের জমিতে পার্কটি গড়ে তোলা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেখানে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে কিছুটা জমি কিনে পার্কের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। দেখভালের দায়িত্বে ছিল সেই স্বনির্ভর গোষ্ঠী। ২০০৬সালে এই পিকনিক স্পট পার্ক চালু হয়। পরে আর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। স্থানীয়রা জানান, পার্ক থেকে কিছুটা দূরে ফালাকাটা শহর। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে প্রচুর মানুষের ভিড় হত। স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হত। কিন্তু উদাসীনতার কারণে সেই পরিকল্পনা থমকে গিয়েছে।
যতীন সরকার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, পার্কে ঢোকার রাস্তার জন্য আমিও জমি দিয়েছিলাম। তখন বলা হয়েছিল এখানে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এখন গোটা জায়গা জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। মদ্যপদের দৌরাত্ম্য থাকলেও কারও হেলদোল নেই। বড় শৌলমারি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান জয়ন্ত দে বলেন, বড় শৌলমারি পার্কটি তৈরির সময়ে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করে ওদের নামে জমিও কেনা হয়। আমি প্রধান হওয়ার পর এনিয়ে খোঁজ নিয়েছি। গ্রামপঞ্চায়েতের পক্ষে পার্ক সাজিয়ে তোলা সম্ভব নয়। ওখানে গ্রামপঞ্চায়েতের ছয়বিঘা জমি রয়েছে। গাছবাগান রয়েছে, বেশকিছু গাছ চুরির ঘটনা শুনেছি।
মাথাভাঙা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মন বলেন, বড় শৌলমারি পার্কটি বেহাল সেটা জানি। ওখানকার জমির স্টেটাস কী রয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখব। আমরা চেষ্টা করব পার্ক ও পিকনিক স্পট তৈরি করার। স্থানীয়দের কর্মসংস্থান আমাদের কাছে অগ্রাধিকার।
(বড় শৌলমারি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার পার্ক ও পিকনিক স্পট ভরেছে জঙ্গলে।-নিজস্ব চিত্র)