পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
এদিন সকাল থেকেই টিকিট কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। বাবা-মায়ের কোলে চেপে সাফারির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে অগণিত শিশুকে। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার-ভালুক দেখবেন বলে কম্বো সাফারি-গ্র্যান্ড সাফারির জন্য পর্যটকদের মধ্যে ছিল বিপুল উত্সাহ। একদিকে যখন সাফারির জন্য দীর্ঘ লাইন, পার্কের অন্য পাশে তখন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে মেতে উঠল কচিকাঁচারা। তরুণ-তরণীদের মধ্যে ছিল টয়ট্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার হিড়িক।
বড়দিন মানেই পিকনিক। সাফারি পার্কে দল বেঁধে অনেকেই এদিন পিকনিক সেরেছেন। অনেকে বাড়ি থেকে রান্না করে এনেছিলেন। পার্কের রেস্তোরাঁতেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
বহরমপুর থেকে পরিবার নিয়ে সাফারি পার্কে এসেছিলেন মহম্মদ সোনাউল্লা। পার্ক ঘুরে তাঁর উপলব্ধি, ছেলেমেয়েদের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ সামনে থেকে দেখে ভালোই লেগেছে। আমরা এখানে একটি ভালো দিন উপভোগ করলাম। রাজস্থান থেকে অর্জুন জয়সওয়াল তাঁর পরিবার নিয়ে এসেছিলেন পার্কে। অর্জুনের কথায়, শিলিগুড়িতে এবারই প্রথম এলাম। গ্যাংটক যাচ্ছি। হোটেল থেকে জানতে পেরে বেঙ্গল সাফারিতে বড়দিনের দুপুর কাটানোর সিদ্ধান্ত নেই। বাঘ, ময়ূর, হরিণ, পাইথন খুব কাছ থেকে দেখে আমার সন্তানরা খুশি। প্রত্যেকটি পশুপাখি স্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে দেখে ভালো লাগল। এ ধরনের পরিবেশে একটা বিশেষ দিন কাটানোর ভালো অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা ফিরব।
উৎসবের দিনে ভিড় উপচে পড়বে তা জানাই ছিল বেঙ্গল সাফারি কর্তৃপক্ষের। বিজয় কুমার বলেন, সকলে যাতে সাফারি করতে পারেন সেজন্য আমরা বাড়তি গাড়ি রেখেছিলাম। সাফারির জন্য আমাদের নিজস্ব ১৬টি গাড়ি রয়েছে। এছাড়াও আরও সাতটি অতিরিক্ত গাড়ি রেখেছি। এদিন ২১টি গাড়ি সাফারিতে চলেছে। ১ জানুয়ারি পর্যন্ত দর্শকদের এরকমই ভিড় থাকবে। সে কারণে সাফারি জন্য বাড়তি সাতটি গাড়ি থাকবে। - নিজস্ব চিত্র।