পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর কুড়ি আগে ওই এলাকার সীমান্তে কোনও এসএসবি ক্যাম্প না থাকায় চোরাচালান সহ নিরাপত্তার খাতিরে জেলা পুলিস এই ক্যাম্প চালুর উদ্যোগ নেয়। সেখানে মোতায়েন থাকত চার জন পুলিস কর্মী। এখন সেসব ইতিহাস। এখন এই এলাকাটি নকশালবাড়ির থানার অধীনে রয়েছে। এখান থেকে থানার দূরত্ব প্রায় ১২কিমি। সেক্ষেত্রে কোনও ঘটনা ঘটলে পুলিস আসতেই ঘণ্টাখানেক সময় লেগে যায়। শুধু মানঝা চা বাগানই নয়, এই থানার অধীনে মণিরামের নেপাল সীমান্তে একটি ক্যাম্প চালু হয়েছিল। সেখানে একটি ওয়াচটাওয়ারে মোতায়েন থাকতেন পুলিস কর্মী। সেটিও বন্ধ রয়েছে।
মানঝা চা বাগানের ৮ নম্বর সেকশনের বাসিন্দা প্রমোদ টোপ্পো বলেন, একদশক আগে পর্যন্ত পুলিস ক্যাম্পটি ছিল। তবে এখন সেখানে কাউকে দেখা যায় না। ক্যাম্পটি পুনরায় চালু হলে নিরাপত্তা আরও দৃঢ় হবে। অপর বাসিন্দা রোশন তিরকি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের এই এলাকা হয়ে চোরাচালানের কারবার চলে। যা এখনও হচ্ছে। মানঝা চা বাগান ও লোহাগড় বনাঞ্চলের মধ্যদিয়ে রয়েছে চোরাচালানের রুট। পুলিস ক্যাম্প চালু হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। নকশালবাড়ি ও মিরিক ব্লক ঘেঁষে ওই এলাকাটি। মিরিক থানার অন্তর্গত লোহাগড়ে পুলিস ফাঁড়ি থাকলেও সেখানে পুলিসের টহল নেই। এদিকে নকশালবাড়ি থেকেও টহল দেয় না পুলিস বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের। এজন্য সেখানে পুলিসক্যাম্প চালু করার জোরাল দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
এব্যাপারে দার্জিলিংয়ের পুলিস সুপার প্রবীণ প্রকাশ বলেন, নকশালবাড়ি থানার অন্তর্গত দুটি ক্যাম্প আপাতত কার্যকর নেই। যদিও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।
- নিজস্ব চিত্র।