পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে প্রতিটি অঞ্চলে হচ্ছে এই ধরনের সম্মেলন। মানিকচকের সম্মেলনে এনায়েতপুর, চৌকি মিরদাদপুর, ধরমপুর ও গোপালপুরের পাঁচটি অঞ্চলের ১৫১ জন প্রতিনিধির মধ্যে প্রায় ১৪০ জন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন জেলা নেতা অম্বর মিত্র, দেবজ্যোতি সিনহা, মোজাফফর হোসেন, রত্না ভট্টাচার্য সহ অন্যরা।
সম্মেলনে প্রথমে জেলা নেতৃত্ব বক্তৃতা দেয়। পরে বিভিন্ন এলাকা থেকে যাওয়া এরিয়া কমিটির সদস্যরা নিজেদের এলাকার সাংগঠনিক সমস্যা তুলে ধরেন। সেখানেই ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গোপালপুর অঞ্চলের বালুটোলা এরিয়া কমিটির সদস্য একদিল হোসেন। তাঁর কথায়, গত কয়েক বছরে বারবার তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বোমা ও গুলি নিয়ে হামলায় খুনের ঘটনাও ঘটেছে। অথচ একবারের জন্যও জেলা নেতৃত্ব বালুটোলায় যায়নি। গত পঞ্চায়েত ভোটে নেতৃত্বকে বলা সত্ত্বেও এলাকায় কোনও সভা হয়নি। যার ফলে মানুষ পাশে থাকছে না। আমরা সেভাবে নেতৃত্বকে পাশে পাচ্ছি না। একসঙ্গে কাজ না করলে দল আরও ক্ষয়ে যাবে।
এদিন কয়েকজন বক্তৃতা দেওয়ার পর প্রায় খালি হয়ে যায় সভাকক্ষ। সেই সময় মাত্র কয়েকজন সদস্যের উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন উগরিটোলা এরিয়া কমিটির সদস্য আইনুল হক। তিনি বলেন, যখন নেতৃত্বই নেই, কার সামনে সমস্যা তুলে ধরব। মিটিং, মিছিল সভায় লোক থাকলেও ভোটবাক্স শূন্য। বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মানিকচকে সিপিএমকে একা লড়তে হবে। জোট করে আমাদের এই হাল। অনেক সময় নেতৃত্ব পাশে না দাঁড়ানোয় অনেকই মুখ ফিরিয়েছেন।
যদিও এবিষয়ে সিটুর মালদহ জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, আত্মসমালোচনা করতেই এই সম্মেলন। এরিয়া কমিটির সদস্যদের যে রাগ, অভিমান রয়েছে,সমস্ত নথিভুক্ত করা হয়েছে। আগামী দিনে সেগুলি সংশোধন করে আমরা লড়াইয়ের জন্য তৈরি হব।
(সিপিএমের মানিকচক-২ এরিয়া কমিটির তৃতীয় সম্মেলন।-নিজস্ব চিত্র)