পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
শিলিগুড়ি মহকুমায় এখনও বহু পরিবার ভূমিহীন। তাদের কেউ খাস জমি কিংবা চা বাগানে বসবাস করছে। তাদের নিজেদের নামে জমি নেই। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তা তালিকা যাচাই করার সময় ভূমিহীনদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। চারটি ব্লকে ভূমিহীনের সংখ্যা ৮৪৫ জন। এমন বাসিন্দার সংখ্যা খড়িবাড়ি ব্লকে সর্বাদিক, ৪৩১ জন। এরবাইরে ফাঁসিদেওয়ায় ১৮৮, মাটিগাড়ায় ১৭৫ এবং নকশালবাড়িতে ৫১ জন ভূমিহীন রয়েছেন। অধিকাংশই পেশায় দিনমজুর। এঁদের থেকেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে গৃহনির্মাণের টাকা পাচ্ছেন ১৬৩ জন।
প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, প্রথম পর্যায়ে যাঁরা ঘর পাচ্ছেন সেই তালিকায় ওই ভূমিহীনরা রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা চা বাগানে বসবাস করেন, তাঁদের জমি বাগান থেকে জোগাড় করা হচ্ছে। এজন্য বাগান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জমি ব্যবহারের অনুমতিপত্র বা নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট জোগাড় করা হচ্ছে। আর খাস জমিতে যাঁরা বসবাস করছেন, তাদেরকে জমির পাট্টা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই মাটিগাড়ায় সাতজনের জন্য জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। শীঘ্রই তাঁদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে জমির অধিকার দেওয়া হবে। ফাঁসিদেওয়া ব্লকে প্রথম পর্যায়ে ন’জন ভূমিহীন ঘর পাচ্ছেন। যারমধ্যে চারজন পূর্তদপ্তরের জমিতে বসবাস করছেন। ফাঁসিদেওয়ার বিডিও বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, ভূমিহীনদের জমি জোগাড়ের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে।
এদিকে, মহকুমায় বাংলার বাড়ি প্রকল্পে মোট উপভোক্তার সংখ্যা ১৭ হাজার ৬৬ জন। যারমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ঘর পাচ্ছেন ৫১৭৫ জন। এমন উপভোক্তার সংখ্যা ফাঁসিদেওয়া ব্লকে সবচেয়ে বেশি, ২১৮৮ জন। এরবাইরে খড়িবাড়িতে ১৪৯৪, নকশালবাড়িতে ১৩০৪ এবং মাটিগাড়ায় ১৮৯ জন উপভোক্তা রয়েছেন। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশমতো প্রথম পর্যায়ে এতজনকে প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, গৃহ নির্মাণের উপভোক্তাদের প্রদান করা হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। প্রথম কিস্তিতে তাঁরা ৬০ হাজার টাকা করে পাবেন।