পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
এদিকে কুলিক ফরেস্ট এলাকায় যাতে আগুন জ্বালিয়ে কোথাও রান্না না হয় বা সাউন্ড সিস্টেম না বাজানো হয়, তা নিয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখে রায়গঞ্জের বনদপ্তর। ডিএফও ভূপেন বিশ্বকর্মা বলেন, আগেভাগেই আমরা মানুষকে সতর্ক করেছিলাম। এদিনও নজরদারি চলেছে। সন্ধে পর্যন্ত কোথাও কোনও অস্বাভাবিক কিছু আমাদের নজরে আসেনি। মেরুয়াল সেন্ট জোসেফ ক্যাথিড্রালে মানুষের ভিড় সামাল দিতে নামে পুলিস। রায়গঞ্জ ট্রাফিক গার্ডের ওসি তাপস কুমার বিশ্বাস বলেন, রায়গঞ্জ শহরে ক্যারিটাস ও মেরুয়ালে বড় চার্চ অর্থাৎ সেন্ট জোসেফ ক্যাথিড্রালে মানুষের রেকর্ড সংখ্যায় ভিড় হয়। যা সামাল দিতে অতিরিক্ত নজরদারি রাখতে হয়। রায়গঞ্জ পুরসভার তরফেও ক্যারিটাসে একটি অনুষ্ঠান পালিত হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত দুঃস্থ মানুষের সঙ্গে বড়দিনের আনন্দ ভাগ করে নেন। কেক, কম্বল ইত্যাদি তুলে দেন তাঁদের হাতে।
বড়দিনে রাতভর জোড়া কার্নিভালে মাতল মালদহ। শহরের রামকৃষ্ণ মিশনের পাশের মাঠে ইংলিশবাজার পুরসভার উদ্যোগে কার্নিভাল শুরু হয়। শহরের ভবানী মোড়েও কার্নিভাল শুরু হয় ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে।
মালদহের গাজোলের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র আদিনা মসজিদ, ফরেস্ট, ইকোপার্কে ভিড় উপচে পড়ে। ভিড় সামলাতে পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে বাড়তি ব্লক প্রশাসনের কর্মী এবং সিভিক সহ অন্যান্য পুলিস আধিকারিকদের মোতায়েন করা হয়। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে গৌড়বঙ্গ সহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু পর্যটক সেখানে আসেন। ইকোপার্ক এবং আদিনা ফরেস্টের টিকিট, খেলনা, বোর্ডিং মিলিয়ে বড়দিনে মোট ৭৪ হাজার টাকার বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। গাজোলের রেঞ্জ অফিসার লতিফ শেখ বলেন, ফরেস্টে ৩৬ হাজারের বেশি টাকা টিকিট বিক্রি হয়েছে। ফরেস্টের বাইরে পিকনিক হয়েছে। এদিন থেকে পর্যটকের ভিড়ের আগমন শুরু হল, নতুন বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত লাগাতার ভিড় হবে। আদিনা ইকো পার্কের দায়িত্বে থাকা অমিত হালদার বলেন, প্রায় ১৮০০ বেশি পর্যটক ইকো পার্কে আসেন।
বড়দিনে তপনের পাহাড়পুর ফরেস্ট, গুড়াইল ফরেস্ট এবং গোফানগর ফরেস্টে বন্ধ থাকল পিকনিক। পিকনিকের মরশুমে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিজ্ঞপ্তি ঝোলানো হয়। হিলির সারেংবাড়িতে পিকনিক করতে আসা মানুষের ঢল নামে। (ইংলিশবাজারে কার্নিভালে নৃত্যানুষ্ঠান। ছবি: উৎপল মণ্ডল।)