অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
তবে এই অবস্থায় কিছুটা আশার কথা শোনাল আবহাওয়া দপ্তর। আগামী মঙ্গলবার থেকে নাকি মেঘের আনাগোনা শুরু হবে উত্তরবঙ্গের আকাশে। কিন্তু, কাল সোমবার পর্যন্ত অসহ্য গরম সহ্য করতে হবে। সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, বর্ষাকালে উত্তরবঙ্গে যে বৃষ্টি হয় তা মূলত নির্ভর করে মৌসুমি অক্ষরেখার অবস্থানের উপর। সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে পরপর কয়েকটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। তার জেরেই মৌসুমি অক্ষরেখার পূর্বপ্রান্তের অবস্থান দক্ষিণ দিকে সরে গিয়েছে। এর জেরে উত্তরবঙ্গে মেঘের আনাগোনা একেবারেই নেই। অসহ্য গরমে কাহিল হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী দু’দিন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পারদ ৩৯ থেকে ৪০ ডিগ্রিতেই থাকবে। যা এই সময়কার যাবতীয় অতীত রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে। রবি ও সোমবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমের দাপট বৃদ্ধি পাবে। দার্জিলিং পাহাড় থেকে শুরু করে সমতল শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার উত্তরের সব জেলাতেই অসহ্য গরম থাকবে। মঙ্গলবার বৃষ্টির ইঙ্গিত থাকলেও নিশ্চিত কোনও বার্তা এখনও নেই। এদিকে, বৃষ্টির অভাবে চাষবাসের অবস্থাও বেশ খারাপ। জলপাইগুড়ি সদরের সহকারী কৃষি অধিকর্তা সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন, আগস্টে এখানে যা বৃষ্টি হয়, তার মাত্র ৫০ শতাংশ হয়েছে। সেপ্টেম্বরে এখনও সেভাবে বৃষ্টির দেখা নেই। অনেক জায়গাতেই আমন ধানের জমিতে জলের সমস্যা তৈরি হয়েছে। এখন ধানের ফুল আসার সময়। জল কম হলে ধানের ফুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন গরম চলতে থাকলে কমতে পারে ফলন।
তবে এদিন রাতে স্বস্তির বৃষ্টি নামে ডুয়ার্সের মাল মহকুমার তিনটি ব্লকে। সন্ধ্যা সাতটা থেকে মাল, মেটেলি ও নাগরাকাটায় বজ্র-বিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এর জেরে নাগরাকাটার পানঝোরা জঙ্গলে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে উপর বহু বড় গাছের ডাল পড়ে বেশ কিছুক্ষণ যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। - নিজস্ব চিত্র