অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
অনেকেই বলছেন, রাজ্যের শিল্পকর্ম তুলে ধরতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ড চালু করেছিলেন। সেই ব্র্যান্ডনেমের মহিমাতেই এবার বিশ্ববাংলা শাড়ি শহরের মহিলাদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম আকর্ষণ। শহরের বিদ্রোহী মোড় সংলগ্ন এক বিপণির কর্ণধার বিকাশ আগরওয়ালের দাবি, কাপড়টির প্রধান বিশেষত্ব হল, এরাজ্যেই তৈরি। তৈরির সময় যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দেন শিল্পীরা। শাড়ির ডিজাইন মেশিনে নয়, একেবারে হাতে তৈরি করা হয়। এক পিস এই শাড়ি তৈরিতে সময় লাগে প্রায় ৩০ দিন। এবার পুজোয় মহিলাদের কাছে এর বিপুল চাহিদা রয়েছে।
পুজোয় রকমারি পোশাকের তালিকা তৈরি করেন মহিলারা। বাংলার ঐতিহ্য মেনে অষ্টমীর জন্য ট্রেন্ডি শাড়ি সংগ্রহের চেষ্টা থাকে তাঁদের। তালিকায় শুধু বিশ্ববাংলা নয়, রয়েছে ভিনরাজ্যের সিল্ক শাড়িও। সুরাতের সিল্ক থেকে শুরু করে ক্রানচি, টিস্যু বা অর্গ্যাঞ্জা, ব্রোকেট, আজরাখ প্রিন্ট শাড়িও এবারই প্রথম বাজারে এসেছে বলে দাবি এক বিক্রেতার। এছাড়া মটকা, স্বর্ণচুরি, কটকি, ঘিচা সিল্কও রয়েছে মহিলাদের পছন্দের তালিকায়।
এক বিক্রেতার কথায়, যুবতী থেকে শুরু করে মধ্যবয়স্কদের এবার পছন্দ হালকা সিল্ক শাড়ি। সেজন্যই ক্রানচি, টিসু বা অর্গ্যাঞ্জা, ব্রোকেট, আজরাখ প্রিন্টের বিক্রি ভালো হচ্ছে। টিস্যু কিংবা অর্গ্যাঞ্জার বিশেষত্ব হল এটি খুব হালকা। ডিজাইনও আকর্ষণীয়। গুজরাতের বারবারি সিল্ক মূলত রাতে জাকজমকপূর্ণ সাজের সঙ্গেই মানানসই।
পুজোর আর হাতেগোনা কয়েকদিন বাকি। তাই শাড়ি ছাড়াও জামা কাপড়ের দোকান, শপিং মলে ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। শনিবার রায়গঞ্জ শহরে জামাকাপড়, জুতো, মনিহারি দোকানেও যথেষ্ট ভিড় দেখা গিয়েছে। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিস। ঘনঘন চলছিল টহল।
ঘড়িমোড় লাগোয়া শহরের এক নামি রেডিমেড পোশাকের দোকানের কর্ণধার দীপক রায় বলেন, আগের থেকে বাজারে ভিড় বাড়ছে। মূলত শনিবার ও রবিবার লোকজন বেশি আসছেন কেনাকাটা করতে। কয়েকদিন পর পুরোদমে বাজার শুরু হবে। আমাদের বিপণিতে মূলত বাচ্চাদের পোশাকই বেশি বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় আর এক ব্যবসায়ীর বক্তব্য, আধুনিক রেডিমেড পোশাকের বিক্রি ভালোই। মেয়েদের ওয়ান পিসের চাহিদা ভালো। লং ও শর্ট দু’রকমের ভ্যারাইটিতেই মিলছে ওয়ান পিস। - নিজস্ব চিত্র