অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
গত মার্চ মাসে নিগমের জলপাইগুড়ি ডিপো থেকে শেষবার প্যাকেজ ট্যুর হয়েছিল। তারপর থেকে যাত্রীর অভাবে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে ‘সবুজের পথে হাতছানি’ নামে ওই প্যাকেজ ট্যুর। এরপর পুজোকে সামনে রেখে ফের ওই ট্যুর চালু করতে গত মাস থেকে ঝাঁপান নিগমের কর্মীরা। সেইমতো এদিন সকাল ৭টায় এনবিএসটিসি’র জলপাইগুড়ি ডিপো থেকে যাত্রীদের নিয়ে বাস ছাড়ে লাভার উদ্দেশে।
ডিপো ইনচার্জ দীপক রাহা বলেন, প্যাকেজ ট্যুরের বাসে ২৭ জনের সিট। এদিন ২০ জনের একটি দল বুকিং করেছিল। বোদাগঞ্জ, গজলডোবা, ওদলাবাড়ি, ডামডিম, মিনগ্লাস চা বাগান, গোরুবাথান হয়ে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে লাভা। সেখান থেকে কালিম্পংয়ের ডেলো হয়ে লাভাতে রাত্রিবাস। রবিবার ঋষভ, সাঙ্গেখোলা ঘুরিয়ে নিয়ে আসা হবে জলপাইগুড়ি। তিনবেলা খাওয়া ও হোটেল খরচ মিলিয়ে এই ট্যুরে মাথাপিছু নেওয়া হয়েছে আড়াই হাজার টাকা।
এরপরের ট্যুর কবে? জলপাইগুড়ির ডিপো ইনচার্জ বলেন, অনেকেই খোঁজখবর নিচ্ছেন। আসলে ২০ জন না হলে আমরা প্যাকেজ করতে পারব না। সেকারণে যাত্রী হলেই আমরা পরবর্তী গন্তব্য ও তারিখ জানিয়ে দেব।
এদিন যাঁরা জলপাইগুড়ি থেকে নিগমের প্যাকেজ ট্যুরে যান, তাঁরা মূলত শহরের প্রাতর্ভ্রমণকারীদের একটি দল। সেই দলে যেমন রয়েছেন হাকিমপাড়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী ইন্দুভূষণ সাহা, তেমনই আবার রয়েছেন কদমতলার বাসিন্দা অর্চনা চক্রবর্তী। বাসে বসে কপতি সাহা, সোমদেব বসু বলেন, জলপাইগুড়িতে যা গরম দু’টো দিন পাহাড় থেকে ঘুরে আসতেই এই পরিকল্পনা। বিশ্বকর্মা পুজোর পর এনবিএসটিসি প্যাকেজ ট্যুর চালু করবে জেনেই যোগাযোগ করেছিলাম। ভালোই হয়েছে, শনি-রবি দু’টো ছুটির দিনে ঘোরার সুযোগ পেলাম। নিগম যা আয়োজন করেছে আমাদের জন্য খুবই ভালো। আমরা মনে করি, সঠিক প্রচার হলে এই উদ্যোগ দারুণ সাড়া ফেলবে পুজোয়। এনবিএসটিসির বাসে সওয়ার পর্যটকরা। - নিজস্ব চিত্র।