অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
গত তিনদিন গঙ্গা ও ফুলহরের জল ঢুকছে মানিকচকের ভূতনির বিভিন্ন এলাকায়। পাঁচটি গ্রাম জলমগ্ন হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতের পুলিনটোলা গিরিটোলা ও আলাদিয়ার বাসিন্দারা। সেখানে বাড়িতে জল ঢুকতে থাকায় ফের ছাদ বা বাঁধে বাস করতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। জল পেরিয়েই চলছে যাতায়াত। উত্তর চণ্ডীপুরের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে মানিকচকের। পুলিনটোলার রাস্তার উপর দিয়ে প্রবল স্রোতে বইছে নদীর জল। সেদিকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে সোমেন মণ্ডলের (৬১)।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গিরিটোলার বাসিন্দা সোমেন দিনমজুর। এলাকা জলমগ্ন বলে গবাদি পশুদের সুরক্ষিত জায়গায় রাখতে ছেলে নিখিলকে নিয়ে পুলিনটোলার রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন। সেই সময় জলের স্রোতে একটি গবাদিপশু ভেসে যাচ্ছিল। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তলিয়ে যান সোমেন। বাবাকে বাঁচানোর চেষ্টা করার সময় নিখিলও জলের তোড়ে তলিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে স্থানীয়দের তৎপরতায় তিনি রক্ষা পেয়েছেন। খবর পেয়ে সিভিল ডিফেন্সের বিশেষ দল তল্লাশি অভিযানে নেমে পড়ে। এমনকী স্থানীয়রা জাল ফেলে সোমেনকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। প্রায় চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হয় মৃতদেহ। মৃতের পরিবারের সদস্য তুষার কান্তি মণ্ডল বলেন, গবাদি পশুদের নিয়েই বেশি সময় কাটত কাকুর। তাই জলে ডুবে থাকা বাড়ি থেকে অন্য জায়গায় গবাদি পশুগুলি নিয়ে যাচ্ছিলেন। জলের স্রোত তাঁকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার পরে পুলিনটোলার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আপাতত নৌকায় চলছে যাতায়াত। এলাকায় নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হয়েছে পুলিস।