গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
সারাবছর প্রতিটি ওয়ার্ডই রোগীর ভিড়ে ঠাসা থাকে। বেড খালি না থাকায় মেঝেতে রেখে রোগীদের চিকিৎসা চলে। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি শুরু হতেই গত একমাসে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলি কার্যত খাঁ খাঁ করছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীর পরিবারের লোক ভর্তি করার জন্য আবেদন নিবেদন জানিয়েও তাঁদের রোগীকে ভর্তি করাতে পারছেন না। কিছুক্ষেত্রে পরিস্থিতির চাপে পড়ে গুরুতর অসুস্থ রোগীকে ভর্তি করা হচ্ছে ঠিকই। এক্ষেত্রে অভিযোগ, কয়েকদিন পর কিছুটা সুস্থ হতেই তাঁদের জোর করে ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। চাপ সৃষ্টি করে ছুটি দেওয়ার ঘটনায় গরিব পরিবারের লোকেরা কার্যত অসহায়। উদ্বেগ নিয়ে তাঁরা তাঁদের রোগীকে বাড়ি নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
জলঢাকার কালি দর্জিকে সোমবার ছুটি দেওয়া হয় সেলাই না কেটেই। জলঢাকার ৬২ বছরের এই বৃদ্ধ কিছুদিন আগে বাড়িতে পড়ে যান। তাঁর ব্রেন স্ট্রোক হয়। তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকেরা। চারদিন হল অস্ত্রোপচার হয়েছে। জ্ঞান ফিরেছে। তবে এখনও ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। অস্ত্রোপচারের কাটা জায়গা ক্লিপ করে জোড়া হয়েছে। ক্ষতস্থান কাঁচা রয়েছে, এই অবস্থাতেও ছুটি দিয়ে সাত দিন পরে সেলাই কাটার জন্য আসতে বলা হয়েছে। একজন রোগীকে এতদূর নিয়ে গিয়ে আবার সাত দিন পর আসা, সবদিক দিয়েই সমস্যা ও ঝুঁকির। সেলাই কেটে ছুটি দিলে ভালো হতো বলে জানান বৃদ্ধের পরিবারের লোকেরা। এদিন ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডের সামনে অপেক্ষায় থাকা এক রোগীর পরিবারের লোকেরা বলেন, গত শনিবার থেকেই আমাদের রোগীকে ছুটি দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অথচ রোগীর এখনও পেটে ব্যথা রয়েছে। এই অবস্থায় বাড়ি নিয়ে গিয়ে আমরা কী করব? ডাক্তাররা কোনও কথা শুনতে চাইছেন না।
হাসপাতাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, এখনও পর্যন্ত রোগীর পরিবার জোর করে ছুটি দেওয়ার অভিযোগ জানায়নি। পেলে খতিয়ে দেখা হবে। তবে পিজিটি ও জুনিয়র ডাক্তারদের টানা কর্মবিরতিতে ডাক্তারের অভাব দেখা দিয়েছে। সিনিয়র ডাক্তার দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে আউটডোরে। নবী দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার ছিল ছুটি। আউটডোর এবং ইমার্জেন্সিতে রোগীর তেমন ভিড় ছিল না। পিজিটি, জুনিয়র ডাক্তাররাও এদিন ইমার্জেন্সির সামনে অবস্থান মঞ্চে বসেননি। তবে রোগীদের জোর করে ছুটি দেওয়া ও গুরুতর অসুস্থদের ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ ক্রমেই বাড়ছে।