শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ক্ষিতীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, আমি ১২ বছর ধরে এই স্কুলে কর্মরত রয়েছি। আমার চাকরি নিয়ে আইনি সমস্যা ছিল সেটা মিটে গিয়েছে। স্কুলের জন্য আমি নিজের ব্যক্তিগত জমি দিয়েছি। বাবার নামের জমিও দিয়েছি। এমাস থেকে আচমকা প্রধান শিক্ষক আমার বেতন বন্ধ করে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমি এদিন পরিবারের লোকজন নিয়ে এসে অবস্থানে বসে পড়েছি। ক্ষিতীন্দ্রনাথ বর্মনের বউমা শম্পা বর্মন বলেন, কোনও আইনি জটিলতা নেই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইচ্ছাকৃতভাবে আমার শ্বশুরমশাইয়ের বেতন বন্ধ করে রেখেছেন। এই অবস্থায় আমরা খাব কী, সমস্যায় পড়েছি।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বেতন আইনি জটিলতার কারণে বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি এদিন অফিসরুমে তালা লাগিয়ে অবস্থানে বসেছিলেন। অফিস ঘরেই ক্লাসরুমের চাবি থাকে। ফলে ক্লাসরুমগুলি খুলেও পঠনপাঠন শুরু করা যায়নি। সমস্যায় পড়তে হয় ছাত্রছাত্রী সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ বীর বলেন, স্কুলের ওই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বেতন বন্ধ করতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের চিঠি পাওয়ার পরই আমরা তা বন্ধ রেখেছি। এখন উনি স্কুলে তালা লাগিয়েছেন। আমরা গোটা বিষয়টি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানিয়েছি।
কোচবিহার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সমরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ওই স্কুলের একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বেতন নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এদিনের সমস্যার বিষয়টি প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আইনি সমস্যা রয়েছে। ওঁকেও সেই বিষয়টি জানানো হয়েছে।