চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
জোরপাটকি পঞ্চায়েতের ধরলা নদীর উপর রয়েছে হাসানের ঘাট। মানসাই নদীর উপর রয়েছে বানহরির ঘাট এবং ধরলা ও মানসাই নদীর সঙ্গমস্থলের কাছে রয়েছে ঝিনাইগুড়ির ঘাট। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মার্চ মাসে তিনটি ঘাটের নিলামের সময় শেষ হয়েছে। পঞ্চায়েত নতুন করে নিলামের তোড়জোড় কিছুটা দেরিতে শুরু করে। এরমধ্যে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় ঘাটগুলির নিলাম আটকে যায়। কিন্তু ভোটের ফল ঘোষণার পর একমাস হয়ে গেলেও, সেই ঘাটগুলির নিলাম নিয়ে কোনও তৎপরতা নেই। অভিযোগ, ঘাটের নিলাম না করে আগের দরপত্র অনুযায়ী ঘাট চালাতে দেওয়ার বিনিময়ে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে। পঞ্চায়েতের কয়েকজন সেই অবৈধ কাজে যুক্ত। যদিও পঞ্চায়েতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
জোরপাটকি পঞ্চায়েতের প্রধান পরেশচন্দ্র বর্মন বলেন, মার্চে তিনটি ঘাটের ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে। আমরা ঘাটগুলির নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম। ফর্ম বিলি করা হয়। কিন্তু ভোট ঘোষণা হওয়ায় তা স্থগিত করা হয়। সেসময় বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগের দরপত্র অনুযায়ী ঘাটগুলির পারাপারের কাজে নিযুক্ত থাকবেন, যাঁরা ঘাটের দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরাই। নির্বাচনের পর নানা কারণে ঘাটগুলির নিলামের কাজ দেরিতে হচ্ছে। আমরা চলতি সপ্তাহে ঘাটগুলির নিলামের জন্য নোটিস জারি করব। একইসঙ্গে নৌকায় পারাপারের ব্যাপারে নিরাপত্তার দিকটি খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে মাঝিদের। জল বেশি হলে পারাপার বন্ধ রাখা হয়।
জোরপাটকি পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল গনি বলেন, নির্বাচনের আগেই ঘাটের নিলাম করা যেত। কিন্তু প্রধান গড়িমসি করায় নিলামের কাজ শুরু করতেই নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যায়। বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে ঠিকই, তবে ঘাটগুলি নিলামে ঢিলেমি করছে ইচ্ছাকৃতভাবে। এতেই সবার সন্দেহ, গোপন কোনও বোঝাপড়া রয়েছে কি না, তা নিয়ে। আমরা চাইছি দ্রুত ঘাটগুলির নিলাম করা হোক। এতে লাভ হবে পঞ্চায়েতের। নিজস্ব চিত্র