চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকবাহাদুরপুরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির পাশেই রয়েছে একটি বাঁশঝাড়। সেখানে একটি বাঁশ কাটা অবস্থায় পড়েছিল। তা নিয়েই স্থানীয় নিরঞ্জন মণ্ডলের সঙ্গে বচসা শুরু হয় শ্যামচরণ মণ্ডলের। তা থেকেই শুরু হয় হাতাহাতি। এরপরেই দু’পক্ষই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। যার জেরে দু’পক্ষের মোট চারজন গুরুতর জখম হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, জখমরা হলেন নিরঞ্জন মণ্ডল (৫৫), শ্যামচরণ মণ্ডল (৪৮) শান্তনা মণ্ডল (৪০) ও জয় মণ্ডল (২১)। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে দু’পক্ষেরই জখমদের বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় দু’পক্ষই বৈষ্ণবনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা অনুকূল মণ্ডলের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই ওই বাঁশঝাড়টিকে নিয়ে দু’পক্ষের গণ্ডগোল চলছিল। এর আগেও বেশ কয়েকবার বচসা হয়েছে। ফলে এলাকার মাতব্বররা ঘরোয়া মীমাংসার জন্য সালিশি সভা করে। দু’পক্ষই সেই সময় সালিশি সভার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল। কিন্তু আজ যে রক্তারক্তি কাণ্ড হয়েছে, দুর্ভাগ্যজনক। আমরা চাই পুলিস সঠিক তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
পুলিস জানিয়েছে, দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।
নিরঞ্জন মণ্ডলের ভাই অখিল মণ্ডল জানিয়েছেন, আমাদের জমিতেই বাঁশঝাড়টি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছি। পাশেই জমি রয়েছে শ্যামচরণ মণ্ডলের। বাঁশঝাড়ের কিছুটা অংশ তাদের দিকে চলে গিয়েছে। এখন তারা ওই ঝাড়টিকে নিজেদের বলে দাবি করছে। আমাদের বাঁশঝাড়ের বাঁশ কাটতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের প্রয়োজনে বাঁশ কাটতে গেলে অকারণে গণ্ডগোল করছে শ্যামচরণ। গতকাল একটি কাটা বাঁশ ওখানেই পড়েছিল। দাদা আজ সেটি আনতে যায়। তখনই দাদাকে মারধর করে শ্যামচরণরা। এরপর দাদাকে কোপায় শ্যামচরণ। ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন শ্যামচরণের স্ত্রী। তিনি বলেন, নিরঞ্জন মণ্ডলরাই আমাদের জমিতে থাকা বাঁশঝাড়টি দখল করছে। আজ সে বিষয়ে কথা বলতে গেলে স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় নিরঞ্জনরা।