চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
এব্যাপারে ইংলিশবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন সুমালা আগরওয়াল বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় শহরে জল জমে গিয়েছিল। তবে নিকাশি ব্যবস্থা ভালো থাকায় তা দ্রুত নেমেও গিয়েছে। আসলে ইংলিশবাজার শহরের ভূ-প্রকৃতিগত অবস্থার কারণে বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়। শহরের ভূমির চরিত্র ঠিক করার ক্ষমতা বা প্রকৃতির উপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে আমরা নিকাশি ব্যবস্থার উপর নিয়মিত নজরদারি চালিয়ে থাকি। এনিয়ে বাসিন্দাদের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।
শহরের বাসিন্দা সাবিত্রী চক্রবর্তী, চিন্ময় মণ্ডল বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই জমা জলের সমস্যা আমাদের ভোগ করতে হচ্ছে। এর আগে শহরের নিকাশি নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করা হবে বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু কাজে কিছু দেখা যাচ্ছে না। এভাবে সকালে শহর জলমগ্ন হওয়ায় স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে ব্যবসায়ী, অফিস-কাছারিতে যাওয়া লোকজনকে চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে। অবিলম্বে শহরের নিকাশি ব্যবস্থার হাল ফেরানোর দিকে পুরসভাকে নজর দিতে হবে।
মালদহ আবহওয়া অফিসের আবহবিদ তপনকুমার দাস বলেন, এদিন সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় মালদহে ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৫৪ মিলিমিটার। বর্ষা পুরোমাত্রায় জেলায় এসে পড়ায় জেলায় কমবেশি বৃষ্টিপাত চলতে থাকবে।
উল্লেখ্য, ইংলিশবাজার শহরে দীর্ঘদিন ধরেই জল জমা সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই শহরের বিনয় সরকার রোড, পিয়াজি মোড় সহ একাধিক এলাকার জল থইথই অবস্থা হয়। শহরের পশ্চিম দিকের ওয়ার্ডগুলির অবস্থা আরও খারাপ। বৃষ্টির জল মাঝেমধ্যেই ওইসব এলাকার বাড়িঘরের নীচতলায় মাঝেমধ্যেই ঢুকে পড়ে। নিকাশি নালার জল উপচে রাস্তা ও বাড়ির উঠানে উঠে যায়। এদিন সকালে জল জমে যাওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই স্কুলে যেতে পারেনি। কিছু স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীরা সময়ে দোকান খুলতে পারেননি। দোকানের সামনে জল দাঁড়িয়ে থাকায় ক্রেতাদেরও সমস্যা হয়। ফলে ব্যবসা মার খায়। বেলার দিকে সমস্যা কিছুটা মিটলেও বিকেলের পর থেকে ফের বৃষ্টি শুরু হয়। তার ফলে দিনভর জেলার স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়। নিজস্ব চিত্র