চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী কড়া অবস্থান স্পষ্ট করার পরপরই এনজেপি থানার পুলিস নড়েচড়ে বসে। গত সপ্তাহে একটি জমি দখলের মামলায় পুলিস গ্রেপ্তার করে তৃণমূলের সাংগঠনিক ব্লক ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির সভাপতি দেবাশিস প্রামাণিক সহ তিনজনকে। প্রসঙ্গত, দাপুটে নেতাদের মধ্যে দেবাশিস ছিলেন অন্যতম। তিনি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির ব্লক সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁকে আগে একবার ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের তিনি ওই দায়িত্ব পান। গতবার জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদেও ছিলেন তিনি।
এদিকে, গ্রেপ্তারির পর থেকেই দলের একাংশের দাবি ছিল বহিষ্কার করতে হবে দাপুটে নেতা দেবাশিস প্রামাণিককে। তাঁর কাজকর্ম নিয়ে সম্প্রতি দলের ভিতর ও বাইরে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। এর আঁচ আগেই পেয়েছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। অবশেষে উপায় না দেখে দেবাশিসকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তই নিল তৃণমূল।
সভানেত্রী মহুয়া গোপের বক্তব্য, আমাদের দলনেত্রী বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পর থেকেই পুলিস প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন দেবাশিস প্রামাণিক। গোটা বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্বের নজরেই ছিল। তারপরই সবদিক খতিয়ে দেখে দেবাশিসকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি উল্লেখ করেন, প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেই দেবাশিস প্রামাণিককে সরানো হয়েছে। এতে স্পষ্ট হচ্ছে যে বা যাঁরা দলের অন্দরে বসে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করবে তাঁর বিরুদ্ধেই দল কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এদিকে, দেবাশিসের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর জেলার এক নেতা বলেন, দলের তরফে এই পদক্ষেপ যথেষ্ট প্রশংসনীয়। এতে দলের নেতা-কর্মীরা নিশ্চিতভাবেই সাবধান হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যায় করলে যে কোনওমতেই রেহাই মিলবে না, এই বার্তা দলীয় নেতা কর্মীদের শুদ্ধিকরণেও সাহায্য করবে।