কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
এবিষয়ে বালুরঘাট মহকুমা সেচদপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অঙ্কুর মিশ্র বলেন, আমরা ওই জায়গা পরিদর্শন করেছি। ওই জায়গায় একটা গর্ত রয়েছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। চকভৃগুর বাসিন্দা দীপঙ্কর মণ্ডল বলেন, এই বাঁধের রাস্তা দিয়ে আমরা যাতায়াত করি। ওই রাস্তার নীচে একটি বিশাল গর্ত দেখা দিয়েছে। সম্ভবত বাঁধে ফাটল থেকে এই গর্ত হয়েছে। বর্ষায় নদীতে জল বাড়ছে। সেই জলের তোড়ে এই ফাটল থেকে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। বাঁধ ভাঙলে চকভৃগুর বাসিন্দাদের বিপদে পড়তে হবে। আরএক বাসিন্দা শঙ্কর জোয়ারদার বলেন, বাঁধে বিশাল বড় গর্ত হয়েছে। ওই গর্ত দিয়ে একজন মানুষ অনায়াসে ঢুকে যেতে পারবে। শুধু এই জায়গা নয়, গোটা চকভৃগুতে বাঁধের নানা অংশের পরিস্থিতি ভালো নয়। বাঁধের ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার করা হয় না। ফলে প্লাবন পরিস্থিতি তৈরি হলে আমাদের বিপদের মুখে পড়তে হবে।
বালুরঘাট শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে আত্রেয়ী নদী। শহরের মধ্যে আত্রেয়ী পাড়ের বেশিরভাগ অংশে পাকাপোক্তভাবে বাঁধাই করা রয়েছে। তবে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বাঁধ দুর্বল রয়েছে। এদিকে শহরের খিদিরপুর শ্মশানের পরে কিছু অংশে বাঁধে সমস্যা রয়েছে।
নদীর ওপারে ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে। ওই এলাকায় নদীবাঁধ এখনও পাকা হয়নি। ওই জায়গাগুলি সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। এদিকে, ২০১৭ সালে বালুরঘাটে বড় বন্যা হয়েছিল। সেসময় চকভৃগুতে বাঁধের নানা অংশ বেহাল হয়ে পড়ে। এরপর বেশকিছু জায়গায় বাঁধের সংস্কার কাজ করা হলেও পরবর্তীতে আর সেভাবে হয়নি। ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। নিজস্ব চিত্র