গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
এতদিন উটগুলি মাথাভাঙা-১ ব্লকের বৈরাগীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বেঙ্গলদইয়ের একটি খোঁয়াড়ে রাখা হয়েছিল। পুলিস জানিয়েছে, আদালতের অনুমতি নেওয়ার পরই রাজস্থানের সিরোহী জেলার শেওগঞ্জের উটের অভয়রাণ্যে সেগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। বিকেলে চারটি ট্রাক ১৬টি উট নিয়ে রাজস্থানের উদ্দেশে রওনা দেয়। সঙ্গে যায় মাথাভাঙা থানার পুলিস।
এ ব্যাপারে মাথাভাঙার এসডিপিও সমরেন হালদার বলেন, গত ২০ মার্চ মাথাভাঙা-শীতলকুচি রাজ্য সড়কের ধরলা সেতুর কাছে নাকা পয়েন্টে ট্রাকে থাকা ১৬টি উট আটক করা হয়। এরপর সেগুলিকে খোঁয়াড়ে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘ এই দু’মাসে উটগুলি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। রাজস্থান থেকে খাবার এনে খাওয়ানো হয়েছে। প্রাণী চিকিৎসকরা চিকিৎসা করে উটগুলিকে সুস্থ করেছেন। আদালতের অনুমতি মেলার পর সেগুলিকেএদিন রাজস্থানে পাঠানো হল। উটগুলির পথে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেকারণে রাজস্থান থেকে এক উটপালককেও আনা হয়েছিল। উটগুলি বাংলাদেশে পাচারের জন্য আনা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মাথাভাঙা মহকুমার বিভিন্ন রুটে পাচারের উদ্দেশে গোরু, মোষ ধরা পড়লেও উট সচরাচর নিয়ে আসে না পাচারকারীরা। উট ধরা পড়ার পর সেগুলিকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছিলেন পুলিস আধিকারিকরা। এই আবহাওয়ায় উটগুলি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের খাবার ও চিকিৎসা নিয়ে চিন্তিত ছিল মাথাভাঙা থানার পুলিস। অবশেষে এদিন ১৬টি উটকে রাজস্থানে রওনা করিয়ে দিতে পেরে স্বস্তিতে পুলিস আধিকারিকরা।
পুলিসের বক্তব্য, পচারের উদ্দেশে একটি ট্রাকে উটগুলিকে গাদাগাদি করে নিয়ে আসা হয়েছিল। দীর্ঘপথে ধকলে ট্রাকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে উটগুলি। উত্তরপ্রদেশের নম্বরের একটি ট্রাকে নিয়ে আসা হয়েছিল উটগুলিকে। সেই ট্রাকটিকে আটক করেছে পুলিস। পুলিস আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এর পিছনে একটি বড়সড় কোনও চক্র জড়িত রয়েছে। উট পচার চক্রের মাথার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। বিভিন্ন সূত্র ধরে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।