কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
গত মঙ্গলবার ছ’জন শিশু মারা গেলেও এআরআই সংক্রমিত কোনও শিশুর মৃত্যু হয়নি। গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে এআরআই সংক্রামিত শিশুমৃত্যুর কোনও ঘটনা মেডিক্যালে ঘটেনি। তাই ফের এআরআই সংক্রমিত এক শিশুর মৃত্যু হওয়ায় শিশু বিভাগের চিকিৎসকরা কিছুটা হলেও চিন্তায় পড়েছেন। যদিও ওই শিশুমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে অভিভাবকদের তরফে হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতি বা কোনওরকম অব্যবস্থার অভিযোগ নেই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার দাসপাড়া থেকে ১ মাস ২৮ দিন বয়সের ওই শিশুটি জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। শিশু বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, শিশুটি সঙ্কটজনক অবস্থায় এসেছিল। প্রবল জ্বর, নিউমোনিয়ার পাশাপাশি অন্যান্য জটিল ব্যধিতেও শিশুটি ভুগছিল। অভিভাবকরাও বুঝে গিয়েছিলেন, শিশুটিকে বাঁচানো কঠিন। শিশুটিকে বাঁচিয়ে তোলা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। তবুও আমরা অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা সুযোগ নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা চালিয়েছি। শুরুতে শিশুটি চিকিৎসায় সাড়া দিলেও অন্যান্য জটিল ব্যধি থাকার কারণে পরবর্তীতে চিকিৎসায় সেভাবে সাড়া দিচ্ছিল না। ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। যেকোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবু বলব, সর্বোচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার জন্যই শিশুটি এতদিন লড়াই করতে পেরেছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ রেফারেল সেন্টার হওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন জায়গা থেকে সঙ্কটজনক অবস্থায় শিশুরা রেফার হয়ে আসছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে রাখার পর পরিস্থিতির অবনতি হলে অভিভাবকরা সরাসরি তাদের শিশুকে এখানে এনে ভর্তি করছেন। প্রায় দেড়মাস আগে উত্তরবঙ্গজুড়ে জ্বর, শ্বাসকষ্টে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা যখন বেড়ে চলছিল, সেই সময় এই সমস্যা বেশি দেখা দিয়েছিল বলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে। সচেতনতা প্রচার ও সংক্রমণের ব্যাপকতা কমে আসায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এ কারণে এআরআই সংক্রমণ নিয়ে এখানে শিশুভর্তির সংখ্যা আগের থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে। দুই শিশুর মৃত্যু হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার অনেকটাই বেড়েছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মেডিক্যালে ৪২ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। তারমধ্যে তিনজন এআরআই সংক্রামিত। সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছে ৪২ জন শিশু। এর মধ্যে একজন এআরআই সংক্রামিত অবস্থায় ভর্তি হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় রেফার হয়ে মাত্র একজন শিশু এসেছে। সে বীরপাড়া থেকে আসে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের ২০ জন শিশু এআরআই সংক্রামিত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এআরআই সংক্রামিত শিশুমৃত্যুর ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এলেও অপুষ্টিজনিত কারণে অন্যান্য জটিল ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনা অব্যাহত। কম ওজনে শিশু জন্মের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনটা হচ্ছে বলে জানান হাসপাতাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক।