কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
কোর্ট মালদহ স্টেশন থেকে হবিবপুরের সিঙ্গাবাদ হয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত রেললাইন চলে গিয়েছে মধ্যম কেন্দুয়ার হাচরা বিলের মধ্য দিয়ে। আগে ট্রেন চলাচল করলেও এখন মালগাড়ি চলে নির্দিষ্ট সময়ে। হাচরা বিলের রেল বাঁধে শেফালি বেওয়ার বাড়ি। সেখানে কালী মন্দিরে পুজো হয়। বাসিন্দারা বলেন, ৩৫ বছর আগে একসময় অসুস্থ শেফালি বেওয়া তাঁর চিকিৎসা করতে পারছিলেন না। সেসময় মা রক্ষা কালী তাঁর উপর ভর করেন এবং তাঁকে স্বপ্নাদেশে পুজো করার নির্দেশ দেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের গৃহবধূ মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে গ্রামবাসীদের বললে তাঁরা সেসময় বিষয়টি মেনে নেননি। সেসময় তাঁকে অনেক বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়। তারপর একের পর এক অলৌকিক ঘটনা ঘটে ওই এলাকায়। অনেকের ক্ষতিও হয়। এলাকায় রোগব্যাধি, দুর্ভোগ দেখা দেয়।
একসময় এলাকার এক মৃৎশিল্পীও স্বপ্নাদেশ পান। স্বপ্নাদেশ পেয়ে সকালেই তিনি শেফালি বেওয়ার কাছে এসে মায়ের মূর্তি বিনামূল্যে গড়ে দেন। তারপর থেকে রেল বাঁধে পুজো শুরু হয়। পুজো শুরুর তিন বছর পরেই তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়। যদিও তিনি ছেলেমেয়েদের নিয়ে পুজো চালিয়ে যান। বর্তমানে শেফালি বেওয়া পুজো পরিচালনার দায়িত্ব গ্রামবাসীদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। যদিও তাঁর নামেই এই পুজো হয়। এবারও সেই পুজোর আয়োজনে গ্রামবাসীরা ব্যস্ত। পুজোর প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চান না তাঁরা। প্রতীকী চিত্র