পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বুধবার গভীর রাতে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ওই দু’জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এই খবর ছড়াতেই শহরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। নতুন করে আক্রান্ত দু’জনকে বালুরঘাটেরই নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের সেফ হোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বালুরঘাটের তহবাজারের এক প্রসিদ্ধ কাপড়ের দোকানের কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। এদিন বালুরঘাট ব্লকে মোট ১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে এত সংখ্যক ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম ঘটল। শুধু শহরেই এদিন আটজন আক্রান্ত হয়েছেন। সেইসঙ্গে গ্রামীণ এলাকায় ১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনের এই রেকর্ড সংক্রমণের খবর ছড়াতেই ব্লকজুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। আক্রান্ত সেই বাইক শোরুমের কর্মী ও পুরসভার সাফাই কর্মীদের সংস্পর্শে এসে ইতিমধ্যেই আরও কতজন সংক্রামিত হয়েছেন, তা সকলের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত স্বাস্থ্য দপ্তর অনুমান করতে পারছে না।
সিএমওএইচ-২ কিশলয় দত্ত বলেন, নতুন করে বালুরঘাট ব্লকে সংক্রমণ বেড়েছে। করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। তাঁদের সকলের লালারস সংগ্রহ করে সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে বালুরঘাট শহরে মোটর বাইকের একটি শোরুমের এক কর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন। খবর মিলতেই বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই শোরুম। আক্রান্ত ওই কর্মীর সংস্পর্শে যতজন এসেছিলেন, তাঁদের খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছে। এদিন সকলের রিপোর্ট না এলেও কয়েকজনের রিপোর্ট এসেছে। তাতে চকভৃগুর বাসিন্দা এক ক্রেতা ও খিদিরপুরের বাসিন্দা শোরুমের এক কর্মীর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অন্যদিকে, বালুরঘাট আর্য সমিতির বাসিন্দা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের এক নেতা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
শহরবাসীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক ছড়িয়েছে তহবাজারের ওই কাপড়ের দোকানের কর্মীর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায়। এমনিতেই ঘিঞ্জি তহবাজার এলাকা। তার উপর জানা গিয়েছে, ওই দোকানে কয়েকদিনে কয়েকশো ক্রেতা যাতায়াত করেছেন। ফলে ওই কর্মীর সংস্পর্শে কতজন বাসিন্দা এসেছেন, তা চিহ্নিত করা খুব মুশকিল। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন যাঁদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশেরই কোনও ট্রাভেল হিস্ট্রি নেই।