পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এবিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, আমরা সরকারি নির্দেশিকা মেনেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। জেলার প্রতিটি কন্টেইনমেন্ট জোনে আমাদের কড়া নজরদারি থাকবে। গোটা জেলাজুড়েই আমাদের আধিকারিকরা লকডাউন সফল করার জন্য কাজ করছেন।
পাশাপাশি রায়গঞ্জ পুলিস জেলার তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া যেতে পারে। কিন্তু বাইরে বের হলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। কেউ মাস্ক ব্যবহার না করলে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিস।
এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিস জেলার এসপি সুমিত কুমার বলেন, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী যে সব এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেসব জায়গায় পুলিস-প্রশাসনের তরফ থেকে টহলদারি চালানো হচ্ছে। মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, আমরা সবকিছুই করব। আমরা একেবারে প্রথম দিন থেকেই মাস্ক ব্যবহার করার জন্য সকলকে সচেতন করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষ যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন সেজন্য আমরা অনেক বার অনুরোধও করেছি। এবার কেউ মাস্ক ব্যবহার না করলে কড়া পদক্ষেপ নেবে রায়গঞ্জ জেলা পুলিস।
উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের তরফে যে কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই তালিকায় ডালখোলা পুরসভা এলাকার ১৬টি, রায়গঞ্জ পুরসভা এলাকার দু’টি কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে। ডালখোলা পুর এলাকার ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু কিছু অংশ এবং রায়গঞ্জ পুরসভার ১১ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু অংশ কন্টেইনমেন্টে জোনের আওতায় পড়েছে। কালিয়াগঞ্জ পুরসভা ও ইসলামপুর পুরসভা এলাকায় কোনও কন্টেইনমেন্ট জোন নেই। তবে রায়গঞ্জ মহকুমার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আরও সাতটি এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ডালখোলা পুরসভা এলাকাকে বাদ দিয়ে ইসলামপুর মহকুমার গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আরও পাঁচটি এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় ফেলা হয়েছে।
এদিন রাজ্য সরকারের এগিয়ে বাংলা পোর্টাল থেকে প্রাপ্ত নির্দেশিকা অনুযায়ী এই সকল এলাকা এবং তার সংশ্লিষ্ট বাফার জোনকে পুরোপুরিভাবে কনটেইনমেন্ট জোনের আওতায় ফেলা হয়েছে। সেই জায়গাগুলিতে যাতে বাইরে থেকে কোনওভাবেই কেউ প্রবেশ না করতে পারে তার জন্য পোক্ত ব্যবস্থা করেছে পুলিস প্রশাসন। রায়গঞ্জ পুলিস জেলার অন্তর্গত কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে বাইরের লোকেদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি প্রতিটি বাসিন্দার মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করতে উদ্যোগী রায়গঞ্জ পুলিস জেলা। রায়গঞ্জ থানা সহ প্রতিটি থানাকেই এই বিষয়ে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার। রায়গঞ্জ পুলিস জেলার অন্তর্গত করণদিঘি, রায়গঞ্জ, ইটাহার, কালিয়াগঞ্জ ও হেমতাবাদ থানার পুলিস আধিকারিকদেরও কড়া নজরদারি চালানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।