পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মালদহ মেডিক্যালের সুপার তথা উপাধ্যক্ষ অমিত দাঁ বলেন, আমাদের হাসপাতালে অত্যন্ত উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে কোনও করোনা রোগী ভর্তি থাকেন না। সুতরাং চিকিৎসা নিতে আসা রোগী বা তাঁদের আত্মীয়রা নিশ্চিন্তে আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ বা চিকিৎসা নিতে পারেন। অচেনা কারও কথায় অযথা আতঙ্কিত হয়ে অন্যত্র যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ্য, মালদহ মেডিক্যাল কলেজে হাজার খানেক বেড রয়েছে। তবে সাধারণ সময়ে বেড সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ রোগী ভর্তি থাকে। তবে করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দালালচক্র সক্রিয় হয়ে ওঠায় রোগীর সংখ্যা বেশ খানিকটা কমে গিয়েছে। বিষয়টি নজরে এসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও। মালদহ মেডিক্যালের এক ডেপুটি সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক চিকিৎসক বলেন, আমাদের এখানে বর্তমানে কমবেশি ১২০০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এই সংখ্যা সাধারণ সময়ে ভর্তি থাকা রোগী সংখ্যার থেকে বেশ খানিকটা কম। একটি চক্র সাধারণ মানুষদের অনেককেই ভুল বুঝিয়ে অন্যত্র পাঠানোর চেষ্টা করছে বলে আমাদের কানেও এসেছে। এই বিষয়টি নিয়ে কী কী পদক্ষেপ করা যায় তা নিয়ে আমরা ভাবনাচিন্তা শুরু করেছি। প্রয়োজনে মেডিক্যালের বিভিন্ন জায়গায় এই হাসপাতালে নিশ্চিন্তে চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ও কোনও আগন্তুকের কথায় প্রভাবিত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে পোস্টারও দেওয়া হতে পারে।
মালদহ মেডিক্যালে ২২টি ওয়ার্ড রয়েছে। নিউরো সার্জারি, নিউরো মেডিসিন, প্লাস্টিক সার্জারির মতো অত্যাধুনিক বিভাগ ছাড়া দৈনন্দিন চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব বিভাগই মালদহ মেডিক্যালে রয়েছে। সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট, হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, নাক কান গলা ও অন্যান্য অঙ্গের অত্যাধুনিক চিকিৎসা এখন মালদহ মেডিক্যালে করিয়ে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
হরিশ্চন্দ্রপুরের মিহাহাটের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান বলেন, আমার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী’র ভর্তির সম্পর্কে জানতে আমি সম্প্রতি মালদহ মেডিক্যালে গিয়েছিলাম। কিন্তু হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি আমাকে বলেন মেডিক্যালে সন্তান প্রসবের জন্য ভর্তি হয়ে মা ও সদ্যোজাত দু’জনেরই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শেষ পর্যন্ত একটি নার্সিংহোমের ঠিকানা ওই ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়ে ২৮ হাজার টাকার প্যাকেজে স্ত্রীকে সেখানে ভর্তির ব্যবস্থা করে এসেছি। বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা সুনীল মণ্ডলও এক নার্সিংহোমে তাঁর বোনের চিকিৎসা করিয়েছেন মোটা টাকার বিনিময়ে। তাঁর বক্তব্য, মেডিক্যালে গেলে করোনা সংক্রমণের ভয় রয়েছে বলে হাসপাতাল চত্বরেই আমাকে জানিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তাই ভয়ে বোনকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।