পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন পর শিলিগুড়িতে এসেছেন পূর্তমন্ত্রী। এদিন দুপুরে তিনি মৈনাক ট্যুরিস্ট লজের কনফারেন্স হলে পাহাড় ও সমতলের দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে দু’টি কর্মিসভা করেন। প্রথম কর্মিসভায় দলের জেলা সভাপতি (সমতল) রঞ্জন সরকার সহ শিলিগুড়ি শহরের তিনটি টাউন কমিটি এবং মাটিগাড়া, খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া ও নকশালবাড়ি ব্লক কমিটির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দলীয় সূত্রের খবর, জেলার সমতলে অর্থাৎ শিলিগুড়ি মহকুমায় বুথের সংখ্যা প্রায় ৮৫০টি। বুথস্তরে দলের সাংগঠনিক শক্তি পর্যালোচনা করা হয়েছে।
সভার পর কয়েকজন নেতা-কর্মী বলেন, ভোটগ্রহণের দিন বুথের কাজকর্ম সামাল দিতে দরকার হয় ১০-১২ জন কর্মী। কিন্তু মহকুমার কিছু বুথে সাংগঠনিক ভিত অনেকটাই দুর্বল। তাই হিসেব কষে প্রতি বুথে সংগঠনের ভিত এখন থেকেই চাঙ্গা করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের জেলা পর্যবেক্ষক। তিনি বলেছেন, ঘরে বসে নয়, বুথে বুথে গিয়ে স্বচ্ছভাবমূর্তি সম্পূর্ণ উদ্দমী কর্মীদের নামের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। তালিকায় তাঁদের ফোন নম্বর দিতে হবে। যেকোনও প্রয়োজনে ওই নম্বরগুলিতে ফোন করা হবে দলের রাজ্য কার্যালয় থেকে। তাছাড়া বুথে ১৮ বছরের যুবক, পুরুষ ও মহিলার সংখ্যা কত, সেই তালিকাও প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্বল বুথগুলিতে বেশি নজর দিতে বলা হয়েছে। এ জন্য পাশের শক্তিশালী বুথের সঙ্গে দুর্বল বুথকে মিশিয়ে একটি কমিটি করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এভাবেই বুথে দলের ভিত চাঙ্গা করার নির্দেশ দিয়েছেন পর্যবেক্ষক। একমাস পর জেলায় এসে তিনি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
দলের জেলা পর্যবেক্ষক অবশ্য বলেন, শিলিগুড়িতে দলের সংগঠন ঠিকই রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেতা-কর্মীদের দলীয় কাজকর্ম চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব ও দলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার করোনা পরিস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টা মানুষের সঙ্গে আছেন। তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনার মোকাবিলা করছেন। কিন্তু তিনমাস ধরে বিজেপি নেতাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়িতে বসে তাঁরা বড় বড় কথা বলছেন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জীবন বাজি রেখে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে সহযোগিতা করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। এর থেকেই স্পষ্ট তৃণমূল কর্মীরা মানুষের পাশে আছেন। সমাজকর্মী হিসেবে সমস্ত নেতা-কর্মীদের মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে বলেছি।
এরপর দার্জিলিং পাহাড়ের নেতা-কর্মীদের নিয়ে দ্বিতীয় সভা করেন পূর্তমন্ত্রী। সভায় রাজ্যসভার সংসদ সদস্য শান্তা ছেত্রি সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা হাজির ছিলেন। দু’টি সভাতেই উপস্থিত ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ কোর কমিটির চেয়ারম্যান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অরূপবাবু বলেন, আমাদের দলে গণতন্ত্র আছে। মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। কাজেই দলের কোথাও কোনও গোলমাল নেই।