শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
হাউস অব কমনসের মোট আসন সংখ্যা ৬৫০। এবার সেখানে এশীয় বংশোদ্ভূতদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন ২৮ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৫০ জন জয়ী প্রার্থী। পূর্বতন সরকারের আমলে এই সংখ্যা ছিল ৩৫।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিকাঠামোর উপর আস্থা হারিয়েছেন ব্রিটেনবাসী। ভোটের আগেই এই ইঙ্গিত মিলেছিল। নির্বাচন শেষে ভোটদানের হার তা স্পষ্ট করেছিল। এবার ৬০ শতাংশের কম মানুষ ভোট দিয়েছেন। কিছু কেন্দ্রে তো সেই পরিসংখ্যান ৫০ এবং ৪০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভোটারদের কনজারভেটিভ-বিরোধী অবস্থানের জেরে লাভবান হয়েছে লেবার পার্টি। নির্বাচনে ৩৩.৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে স্টারমারের দল। ২০১৯ সালের তুলনায় যা ১.৭ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, সুনাকের দলের ভোট ২০ শতাংশ কমে ২৩.৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
ইতিমধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী স্টারমারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে অভাবনীয় জয়ের জন্য কিয়ার স্টারমারকে শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি, ভবিষ্যতে সব ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।’ স্টারমারের পাশাপাশি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদি। স্টারমারের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর করা। কাশ্মীর প্রশ্নে তাঁর অবস্থানের দিকেও নজর নয়াদিল্লির।
নিজের কেন্দ্রে জয়ী হলেও দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেননি সুনাক। তা সত্ত্বেও দলের হারের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী এবং কনজারভেটিভ পার্টির দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সুনাক।
এদিন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে দাঁড়িয়ে শেষবারের মতো ভাষণ দেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী। পরিবারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্ত্রী অক্ষতা এবং দুই কন্যার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার পথ মসৃণ করতে ওঁরা অনেককিছু ত্যাগ করেছে। ডাউনিং স্ট্রিটের সিঁড়িতে দুই কন্যাকে দীপাবলি উদযাপন করতে দেখেছি। এটাই ব্রিটেনের সংস্কৃতি।’
সুনাকের পর সরকারি বাসভবনে গিয়ে প্রথমবার জাতির উদ্দেশে বার্তা দেন স্টারমার। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্রিটেনের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুনাকের ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়।’ শুরু থেকেই দলের আগে দেশবাসীকে গুরুত্ব দিয়েছেন লেবার নেতা। এদিনও সেই বার্তাই দিলেন তিনি। বললেন, ‘পরিবর্তনের কাজ শুরু হল।’
১৯৯৭ সালে লেবার পার্টিকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টোনি ব্লেয়ার। এবারও সুনাককে হারিয়ে সেটাই করলেন স্টারমার।