শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
প্রাক্তন প্রধানমপ্ত্রী লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পর থেকেই নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছে স্টারমারের দল। বর্তমানে প্রায় ২০ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে লেবার পার্টি। এই ব্যবধান কমার নয়। দিনক্ষণ ঘোষণার পরেই ভোটের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে একাধিক সমীক্ষক সংস্থা।
জুনের শেষে এবিষয় সমীক্ষা চালিয়েছিল ব্রিটেনের অন্যতম সংবাদপত্র দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সংবাদপত্রের ৪৯ শতাংশ পাঠক টোরিদের সমর্থক। যদিও ২০১৯ সালে কনজারভেটিভ নেতা বরিস জনসনের পক্ষে ছিলেন ৭৮ শতাংশ পাঠক। সাভান্তা নামক একটি সমীক্ষক সংস্থার সাহায্যে ভোটারদের মতামত জানার চেষ্টা করেছিল ডেইলি টেলিগ্রাফ। সেখানে জানা গিয়েছে, ৫০ বছরের কম বয়সিরা লেবার পার্টিকেই সমর্থন করছেন। ২০১৯ সালেই স্টারমারের পক্ষে গিয়েছিলেন তাঁরা।
লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই টোরিদের উপর আস্থা হারিয়েছেন ৫০ থেকে ৬৪ বছর বয়সি নাগরিকরা। এক্ষত্রে স্টারমারের দলের পক্ষেই ভোট দেবেন তাঁরা। ২০১৯ সালে মহিলারা মূলত লেবার পার্টিকেই বেছে নিয়েছিলেন। পুরুষদের ভোট গিয়েছিল কনজারভেটিভদের পক্ষে। তবে এবার তেমন কোনও বিভেদ নেই। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই লেবার পার্টির পক্ষেই মতামত দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
গত নির্বাচনে অন্যতম ইস্যু ছিল ব্রেক্সিট। বিপুল পরিমাণে আসনে জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি। বিতর্কের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বরিস। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের দায়িত্ব নেন লিজ ট্রাস। কিন্তু সেই মেয়াদ একমাসের বেশি স্থায়ী হয়নি। ট্রাসকে সরিয়ে গদিতে বসেছিলেন ব্রিটেনের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। গত ১৮ মাস ধরে পূর্বসূরিদের ভুল ঠিক করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। মুল্যবৃদ্ধি ১১ থকে কমিয়ে ২ শতাংশ করেছেন। তবে দলের মধ্যে বাড়তে থাকা গোষ্ঠীকোন্দল থামাতে পারেননি। এসব কারণে কনজারভেটিভটিভদের প্রতি ধীরে ধীরে বিশ্বাস হারিয়েছেন ব্রিটেনবাসী।
এবারের নির্বাচনে ২৫০ প্রার্থী দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৯০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস কর্মীদের ১৯ শতাংশ অভিবাসী। ১২ শতাংশ চিকিৎসক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। সেক্ষেত্রে লেবার পার্টি ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী স্টারমারের সামনে থাকবে একাধিক বড় চ্যালেঞ্জ। যার মধ্যে অন্যতম, ভারত-বিরোধী মনোভাব দূর করা। একইসঙ্গে রয়েছে ব্রিটেন-ভারত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বাস্তবায়ন। আজ বিকেলের মধ্যেই নিশ্চিত হয়ে যাবে সুনাক ও স্টারমারের ভবিষ্যৎ।