শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
সম্প্রতি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং অভিবাসীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রিফর্ম প্রার্থী অ্যান্ড্রু পার্কার। ঘটনায় কনজারভেটিভ নেতার পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন স্টারমার। তা সত্ত্বেও লেবার পার্টি ক্ষমতায় এলে ব্রিটেনে ভারত-বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। গত শুক্রবার ব্রিটেনের এশীয় বংশোদ্ভূতদের নিয়ে বসেছিল রাজনৈতিক আলোচনা সভা। সেখানে ভারতীয়দের মন জয় করা নিয়ে লেবার পার্টির চেয়ার অ্যানেলিস ডডস বলেন, ‘ব্রিটেনের ভারতীয় অভিবাসীদের নিয়ে আমরা গর্বিত। ভারতের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে সবসময় গুরুত্ব দিয়েছে লেবার পার্টি। ভবিষ্যতে বাণিজ্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃঢ় অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।’
নির্বাচনের ঠিক আগেই একান্ত আলাপচারিতায় সবকিছু খুলে বললেন লেবার পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী।
প্রঃ নির্বাচনের আগে ব্রিটেনের এশীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে কোনও দলই আলোচনায় বসেনি। এই ৫৬ লক্ষ মানুষের ভোট না পাওয়া নিয়ে চিন্তা হচ্ছে না?
উঃ আমার দল কখনই এখানকার এশীয় বংশোদ্ভূতদের অবহেলা করে না। গত সপ্তাহে কিংসবারির স্বামী নারায়ণ মন্দিরে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। সেখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যার কথা জেনেছি। সকলকে আশ্বাস দিয়েছি যে, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করব। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) ওয়েটিং লিস্ট আরও কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। একইসঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি কমানোর লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ করা হবে। একইসঙ্গে বর্ণ নির্বিশেষে সমান অধিকার নিশ্চিত করতে আইন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রঃ ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে যাওয়ার পর প্রথম ১০০ দিন সরকার কোন বিষয়গুলিতে গুরুত্ব দেবে?
উঃ প্রথমেই আর্থিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এরপরেই রয়েছে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ওয়েটিল লিস্ট কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে আরও ৪০ হাজার পদে নিয়োগ করা হবে। তৃতীয়ত, দেশের সীমান্তকে আরও সুরক্ষিত করতে হবে। গ্রট ব্রিটিশ এনার্জির সাহায্যে কমবে বিদ্যুতের বিল। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক এলাকায় ১৩ হাজার পুলিস মোতায়েন করা হবে। আর সবশেষে শিশুদের স্কুলে আরও সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে সরকার।
প্রঃ দলের ভিতরে ভারত-বিরোধী মনোভাব অনেকটাই সামল দিতে পেরেছেন। লেবার পারিটকে ভোট দেওয়া নিয়ে নিশ্চিত নন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। তাদের ভরসা ফিরে পেতে কী করবেন?
উঃ ব্রিটেনে ধর্মীয় ভেদাভেদের কোনও জায়গা নেই। বিভাজনের কোনওরকম তেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। আমরা এমন এখ দেশ তৈরি করব যেখানে দক্ষিণ এশীয়দের বৈচিত্র্যকে সম্মান জানানো হবে।
প্রঃ ব্রিটেন-ভারত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। জিতলে এই অসমাপ্ত কাজ কীভাবে শেষ করবেন?
উঃ ক্ষমতায় এলে আমরা ব্রিটেন ও ভারতের মধ্যে এক নতুন কৌশলগত অংশীদারিত্ব তৈরি করব। এর মুল ভিত্তি হল মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। সমঝোতার মাধ্যমে এই চুক্তিকে বাস্তব রূপ দেব। একইসঙ্গে কূটনৈতিক দিক থেকে ভারত থেকে সরাসারি ব্রিটেনে লগ্নির সুযোগ করে দেব।