ইসলামাবাদ (পিটিআই): জেলবন্দি ইমরান খানের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাল রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্থা। এব্যাপারে অত্যন্ত কড়া ভাষায় পাকিস্তান সরকারের সমালোচনা করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্থা ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন’। তারা সাফ বলেছে, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। দেশের রাজনীতি থেকে ইমরানকে দূরে রাখতে অন্তত দু’টি মামলা তাঁর বিরুদ্ধে ‘সাজানো’ হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে তোষাখানা দুর্নীতি মামলা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ওই সংস্থার জেনিভার বৈঠকে (গত ১৮-২৭ মার্চ) ইমরানের মুক্তি সংক্রান্ত প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের ‘দ্য ডন’ পত্রিকায় এই রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে। ওই সংস্থার মতে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কোনও আইনি ভিত্তি নেই। তাই, অবিলম্বে তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরই পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন পাঁচ বছরের জন্য ইমরানের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর থেকেই স্পষ্ট, দেশের রাজনীতিতে তাঁর যোগদান আটকাতে সুকৌশলে ওই বন্দোবস্ত করা হয়। যা কখনই সমর্থন করা যায় না। স্বভাবতই, ইমরানের দল পিটিআইয়ের তরফে এই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্থার এই দাবিকে স্বাগত জানানো হয়েছে।