পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
অর্থাৎ মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে লাগাতার ব্যর্থতা স্বীকারই করে নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। মিনিটস বুকে উল্লেখ তার প্রমাণ। তাই নয়া তত্ত্ব সামনে আসছে। এখন প্রশ্ন হল, এতদিন ধরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রথম সারির মন্ত্রীরা যে দাবি করে এসেছেন, তা হঠাৎ নবনিযুক্ত দুই সদস্যের মুখে কেন? আরবিআইয়ের সদ্য প্রাক্তন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস কিন্তু বরাবর দাবি করে এসেছেন, মূল্যবৃদ্ধি না কমা পর্যন্ত রেপো রেটে কাটছাঁট করা যায় না। তার প্রভাব অর্থনীতিতে পড়বে। এই ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে তাঁর ঠান্ডা লড়াইও চলেছে লাগাতার। হঠাৎ তাহলে এই উল্টো সুর কেন? একটা পক্ষ থেকে দাবি উঠছে, ঘুরপথে এভাবে ব্যাঙ্কগুলিকে মুনাফা পাইয়ে দিতেই রেপো রেট কমানো হয়নি। তথ্যভিজ্ঞ মহলের মতে, শক্তিকান্ত দাসের অবসর গ্রহণের পর কমিটির প্রথম বৈঠক বসবে ফেব্রুয়ারিতে। তখন কমতে পারে রেপো রেট। কিন্তু ততদিনে সাধারণ মানুষের প্রভূত আর্থিক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে রিয়াল এস্টেট। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ২০২২ থেকে বিভিন্ন সময় বেড়েছে রেপো রেটও। অতএব আম জনতার গলায় দ্বিগুণ ফাঁস। কারণ, আকাশছোঁয়া রেপো রেটের কারণে বাড়ি, গাড়ি থেকে শিক্ষা বা ব্যক্তিগত—সমস্ত ধরনের ঋণে ইএমআইয়ের বোঝা বেড়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এই যুক্তি ও অর্থনীতির ফর্মুলা কি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানত না? তাহলে উচ্চহারের রেপো রেটে রেখে দেওয়া হল কেন? আম জনতার উপর বোঝা চাপিয়ে ব্যাঙ্কগুলিকে মুনাফার পাহাড়ে বসানোর কৌশল? নাকি মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা ধামাচাপা দিতে এটা নয়া ফর্মুলা?