পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
বিজেপিরএত চিন্তান্বিত হয়ে শরিকদের তুষ্ট করতে মরিয়া হওয়ার কারণ হল, জোটের সিংহভাগ দলের প্রধান ভোটব্যাঙ্ক দলিত ও অনগ্রসর জাতি। শাহের মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভের প্রেক্ষিতে শুধুমাত্র এদিনের এনডিএ বৈঠকে অংশ নেবেন বলেই দিল্লি এসেছেন টিডিপি নেতা তথা অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার না এলেও দলের তরফে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং। ছিলেন আপনা দলের নেত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল, জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী, বিহারের হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার নেতা জিতনরাম মাঝি, আরএলএম সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়া, উত্তরপ্রদেশের নিশাদ পার্টির প্রধান সঞ্জয় নিশাদ।
এমনিতে বলা হচ্ছিল ওয়াকফ বিল, এক দেশ এক নির্বাচনের মতো ইস্যুগুলিতে আলোচনা ও জোট-সমন্বয়ের কৌশল নির্ধারণ এই বৈঠকের এজেন্ডা। কিন্তু বাস্তবে আম্বেদকর ইস্যুতে শরিকি ক্ষোভের কারণে ড্যামেজ কন্ট্রোলই যে বিজেপির আসল উদ্দেশ্য, সেবিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। বৈঠকের পর বিজেপি সভাপতি নাড্ডা এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘আজ নয়াদিল্লিতে এনডিএ নেতাদের বৈঠকে অংশ নিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত নজিরবিহীন বিভিন্ন মাইলফলক অর্জন করে চলেছে এবং বিশ্ব মহাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। প্রত্যেকের জন্য আরও উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ ও ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে এনডিএ সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
নিশাদ পার্টির প্রধান সঞ্জয় নিশাদ বলেন, ‘বৈঠকে জোট-কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনগুলিতে আমাদের জোটবদ্ধভাবে লড়তে হবে। মৎস্যজীবীদের জন্য সংরক্ষণের ইস্যু বৈঠকে তুলেছি। দাবিপত্র পেশ করেছি।’ আম্বেদরকর প্রসঙ্গে শাহের মন্তব্য নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে? সরাসরি উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন সতর্ক শরিক নেতা।