নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: শেষ পর্যন্ত পপকর্নের উপরও নতুন জিএসটি? সেকেন্ড হ্যান্ড বা পুরনো বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি (ইলেকট্রিক ভেহিকেল) কেনাবেচায় দিতে হবে অতিরিক্ত জিএসটি? গত শনিবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর এইসব সিদ্ধান্ত ঘোষিত হওয়ায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ঝড়ের আঁচ এতটাই যে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার কেন্দ্রের কাছে সাফাই চেয়ে বলেছে যে, গোটা বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি হচ্ছে। স্পষ্টীকরণ দেওয়া হোক। যোগী সরকারের ওই আবেদনের ভিত্তিতে তো বটেই, দেশজুড়ে চলা গুঞ্জন এবং ব্যঙ্গবিদ্রুপ সামলাতেও অর্থমন্ত্রক ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, পপকর্ন নিয়ে কোনও নতুন জিএসটির সিদ্ধান্ত হয়নি। শুধু কোন পপকর্নে জিএসটি কত, সেটাই স্পষ্ট করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রক এই সাফাই দিলেও সমালোচনা অবশ্য বন্ধ হচ্ছে না। কারণ যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে পপকর্নের উপর নানা ধাপের জিএসটি বলবৎ হবে। প্যাকেট করা নয় এরকম খোলা পপবর্নের জিএসটি আগের মতোই ৫ শতাংশ হবে। প্যাকেট করা হলে ১২ শতাংশ হবে। আবার প্যাকেটও নয়, ব্র্যান্ডেড লেবেলও নেই, কিন্তু সিনেমার টিকিট অথবা কোনও ফুডজয়েন্টের প্যাকেজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে পপকর্ন, তাহলে সেটা ১২ শতাংশ। নোনতা পপকর্নের এক রকম জিএসটি। চিনি মিশ্রিত হলে অন্যরকম জিএসটি। সিনেমার টিকিটের সঙ্গে পপকর্ন কিনলে একরকম, আবার গিয়ে আলাদাভাবে কিনলে বেশি জিএসটি।
আবার ইলেকট্রিক ভেহিকেল নিয়ে ভ্রান্তি কাটাতে অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, নতুন কোনও জিএসটি বসানো হয়নি। ব্যবহার করা অর্থাৎ সেকেন্ড হ্যান্ড ইলেক্ট্রিক ভেহিকেল আবার বিক্রি করার সময় কতটা দামে বিক্রি করা হচ্ছে এবং মুনাফা হচ্ছে কতটা, তার নির্ভর করা হবে জিএসটি বলবৎ হবে কিনা। সব ক্ষেত্রেই ১৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য হয়েছে। কোনও ভিন্ন ধাপ রাখা হয়নি। তবে সেটাও একমাত্র যারা ব্যবসায়িকভাবে গাড়ি কেনাবেচা করে তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গাড়ি মালিক যদি সরাসরি কাউকে বিক্রি করেন, তাতে জিএসটি প্রযোজ্য হবে না। আগামীদিনের সড়ক পরিবহণের প্রধান মাধ্যমে হিসেবে বিদ্যুৎচালিত গাড়িকে জনপ্রিয় করে তুলতে মোদি সরকার মরিয়া প্রচার চালাচ্ছে। তাহলে প্রশ্ন হল, সরকার যেখানে ইভি কেনাবেচায় জোর দিচ্ছে, সেখানে জটিল জিএসটির হিসেব থেকে এই ধরনের সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িকে কেন বাদ দেওয়া হচ্ছে না? সেক্ষেত্রে যাদের পক্ষে নতুন ইভি কেনা সম্ভব হচ্ছে না, তারা ইভি কিনতে আগ্রহী হবে।