পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
গতকাল, মঙ্গলবার প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শিশুটিকে হুক কৌশল পদ্ধতিতে বার করে আনার চেষ্টা করেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। ফলে এদিন রাতেই হরিয়ানা থেকে একটি লোহার পাইলিং যন্ত্র নিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে সেই যন্ত্রের মাধ্যমেই শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিক যোগেশ মিনা বলেন, “আমরা পাইলিং যন্ত্রের সাহায্যে ১৬০ ফুট গভীর পর্যন্ত খনন করব। আমদের কাছে দুটি পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম, কুয়োটির কাছে একটি জেসিবি মাধ্যমে ১০ ফুট গভীর গর্ত খনন করা। দ্বিতীয়, পাইলিং যন্ত্রের সাহায্যে ১৫০ পর্যন্ত খননকার্য সম্পন্ন করা। এই দুই পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা করছি।”
রাজস্থানের কোটপুতলি-বেহরুর জেলার বাসিন্দা তিন বছরের চেতনা। গত সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশেই একটি জমিতে খেলতে খেলতে আচমকা ওই কুয়োতে পড়ে যায় সে। কুয়োর মুখটি খোলা থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে শিশুটির বাবা-মা বুঝতে পারেননি বিষয়টি। পরে কুয়োর ভিতর থেকে চেতনার কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীদের ডেকে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করে। কিন্তু কুয়োটি বেশ গভীর হওয়ায় ব্যর্থ হন তাঁরা। কুয়োটির গভীরতা প্রায় ৭০০ ফুট। তবে ১৫০ ফুট গভীরের কোনও জায়গাতেই শিশুটি আটকে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরপরই থানায় ও দমকলে খবর দেওয়া হয়। পুলিস আধিকারিক ও দমকলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তবে তাঁরাও শিশুটিকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন। অবশেষে উদ্ধারকাজে নামে রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কুয়োর মধ্যে অক্সিজেন পাঠিয়ে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। ঘটনাস্থলে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সও। এছড়া কুয়োর ভিতরে পাঠানো হয়েছে ক্যামেরা। যাতে শিশুটির অবস্থান নজরে রাখা যায়। কিন্তু এরপর পেরিয়ে গিয়েছে ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময়। কিন্তু এখনও শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাই ক্রমাগত উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাজস্থানের দৌসায় একটি ১৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় আরিয়ান নামক এক শিশুর।